স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩০ জুলাই : কদমতলা থানাধীন ইছাই লালছড়া গ্রামে সম্প্রতি ঘটে যায় এক চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনা। এই ঘটনার তদন্তে নেমে কদমতলা থানার পুলিশ এখনো পর্যন্ত তিন জনকে জালে তুলতে সক্ষম হয়। কদমতলা থানার অফিসার ইনচার্জ জয়ন্ত দেবনাথ জানান ২৬ জুলাই রাতে ইছাই লালছড়ার ৫ নং ওয়ার্ড়ের বাসিন্দা সুব্রত কুমার এশের বাড়িতে হানা দেয় ৪-৫ জনের একটি ডাকাত দল। আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে পরিবারের দুজনকে বেঁধে রেখে বেধড়ক মারধর করে।
তারপর ঘড় থেকে নগদ অর্থ, স্বর্ণালঙ্কার এবং দুটি মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কদমতলা থানায় একটি মামলা রুজু হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ সন্দেহ জনক কম্পু শুক্লা দাস ও জমির আলী নামে দুই জনকে আটক করে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে চুরাইবাড়ি থানার অন্তর্গত পূর্ব ফুলবাড়ির খাদিমপাড়া ৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সেলিম উদ্দিনের বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে হানা দেয় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় সেলিম উদ্দিনকে। সেলিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১২ হাজার ১০০ টাকা, একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল, ৩ টি কিপ্যাড মোবাইল, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম। এছাড়াও সেলিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়ে বিএসএফ জওয়ানদের পোশাক এবং কুর্তি মাদ্রাসা থেকে চুরি যাওয়া একটি সাউন্ড বক্স। প্রাথমিক তদন্তে বেরিয়ে আসে অভিযুক্তরা বিএসএফ জওয়ানের পোশাক পরিধান করে গ্রামে গ্রামে ডাকাতির ঘটনা সংগঠিত করতো। এই ডাকাত দলের সাথে রাজ্যের এবং বহিঃ রাজ্যের কিছু কুখ্যাত অপরাধী জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ পুলিশের। পুলিশ ঘটনার তদন্ত জারি রেখেছে। ধৃত সেলিম উদ্দিনকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। এখন দেখার পুলিস ডাকাত দলের বাকি সদস্যদের জালে তুলতে সক্ষম হয় কিনা।

