স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ জুলাই : গত ১৮ জুন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর কর্তৃক সমস্ত জেলা শাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের উদ্দেশ্যে জারি করা একটি চিঠি মূলে বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নজরে এসেছে দপ্তরের। শনিবার মহাকরণে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই চিঠির স্পষ্টিকরণ দেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিকরা। ভারতীয় প্রাণী কল্যাণ পর্ষদের সচিব কর্তৃক প্রেরিত চিঠি দ্বারা সমস্ত রাজ্য সরকার গুলোকে প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইন যথাযথভাবে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
এ সময়ে বিশেষ করে বকরি ঈদের সময় অনেক সংখ্যক পশু ও পাখি খাবারের নিমিত জবাই করা হয়। এর জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে পশু ও পাখি পরিবহন করা হয়। এই পরিবহনের সময় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিয়মের বাইরে অবৈজ্ঞানিকভাবে পশু ও পাখি পরিবহন করে। এতে করে প্রাণীদের ক্লেশ হয়। কখনো কখনো মৃত্যু পর্যন্ত হয়। যা পশু পরিবহন বিধি ১৯৭৮ এর নিয়ম বিরোধী। এ ধরনের অবৈধ প্রাণী পরিবহনের উপর কর্তৃপক্ষকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। প্রানীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইন ১৯৬০ -এর অধীনে যেকোন পশুর নিষ্ঠুরতা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আইন অনুযায়ী কোন অসুস্থ পশু, গর্ভবতী গাভী, এই রকম পশুদের করা নিয়ম বিরুদ্ধ। ত্রিপুরায় ধর্মীয় উদ্দেশ্যে পশু জবাই করা যাবে না বলে কোন আইন বলবৎ নেই বলে জানান আধিকারিকরা। শুধু মাত্র পশু কল্যাণ আইনে পশু পরিবহন বিধি ১৯৭৮, পশু সংশোধন বিধিমালা ২০০১, ভারতীয় খাদ্য নিরাপত্তা ও মান কর্তৃপক্ষ এবং পুর আইন নির্দেশাবলী সংশ্লিষ্ট সবাইকে পশু পরিবহনের নিয়ম মেনে চলতে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়।