Friday, March 29, 2024
বাড়িরাজ্যভোট প্রহসন পরিণত করা বিজেপির নিকৃষ্টতম চিন্তাধারা : মানিক

ভোট প্রহসন পরিণত করা বিজেপির নিকৃষ্টতম চিন্তাধারা : মানিক

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২ জুলাই : উপনির্বাচনে চার কেন্দ্রে ভোট হয়নি, ডাকাতি হয়েছে। মানুষকে ভোট দিতে যেতে দেয় নি। শাসক দল সন্ত্রাস করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। পুরো নির্বাচনকে প্রহসণে পরিণত করেছে। প্রহসন করার পেছনে মূলত কারণ আগামী ৮ মাস পর সাধারণ নির্বাচন।

 তাই এই মুহূর্তে তারা চারটি বিধানসভায় কেন্দ্র হাতছাড়া করতে চাইছিলেন না। তাই নির্বাচন প্রহসনে পরিণত করে জয় লাভ করতে চেয়েছিলেন। মানুষকে দেখাতে চেয়েছিলেন তাদের পাশে আছে মানুষ। কিন্তু তারা জন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই নির্বাচন এভাবে প্রহসন পরিণত করা বিজেপির নিকৃষ্টতম চিন্তাধারা। কিন্তু উপভোটে চার কেন্দ্রের মানুষ বিজেপি দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করে এগিয়ে গিয়ে ভোট দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আর তাদের সেই পথ অনুসরণ করা আগামী ২০২৩ -এর জন্য এগিয়ে যাবে রাজ্যের মানুষ বলে জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। শনিবার রাজধানীর প্যারাডাইস চৌমুহনি এলাকায় গণতান্ত্রিক অধিকারের উপর বিজেপি আক্রমণ ও ফ্যাসিস্ট সুলভ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। তাই মানুষের উপর থেকে আস্হা হারানো যাবে না। রাজনীতিতে হতাশার কোন কারণ নেই। মানুষকে পাশে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে জানান বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার।  

রাজ্যের উপনির্বাচনের চারটি মধ্যে তিনটি আসন বেদখল করে নেওয়ার পরেও বিজেপি’র সন্ত্রাসে আশ্রয় নিতে হচ্ছে। উপনির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন থেকে এখন পর্যন্ত রাজ্যে ১৫২ টি সন্ত্রাসমূলক ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। বিজেপি সরকার সব ধরনের অসভ্যতা এবং বর্বরতা সীমা অতিক্রম করে ফেলেছে। বিজেপির এ ধরনের বর্বরতা ত্রিপুরা রাজ্যের সংস্কৃতিতে নেই। কারণ তারা বুঝতে পারছে তাদের পতন নিশ্চত। তাই জোর করে টিকে থাকার জন্য এ ধরনের সন্ত্রাস কায়েম করছে বিজেপি। এমনটাই অভিযুক্ত করলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি আরো বলেন সদ্য সমাপ্ত উপ নির্বাচন শাসকদল বিজেপির সাড়ে চার বছরে ব্যর্থতা, বর্বরতা এবং পাপের ফল ছিল। যারা দল থেকে এবং বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে তারা সরকার প্রতিশ্রুতি পালন করতে না পারার কারণে ইস্তফা দেয়নি। তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ সিদ্ধি এবং ব্যক্তিগত উত্থানের জন্য অভ্যন্তরীণ গুষ্ঠী কোন্দল কেন্দ্র করে পদ থেকে ইস্তাফা দিয়েছেন বলে জানান তিনি। এই সরকার সাড়ে চার বছরে কোন প্রতিশ্রুতি পালন করে নি। তাই চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জন্য বহিরাগতদের আনতে হয়েছে। এবং নির্বাচনী প্রহর না শেষ হওয়া পর্যন্ত সন্ত্রাস করছে। এর তীব্র নিন্দা জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী।  

এদিন আয়োজিত সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের কনভেনার নারায়ণ কর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। মূলত দাবির তোলা হয় আগামী ২০২৩ -এর জন্য দলের কর্মী সমর্থকরা যেন হতাশায় না ভুগে ময়দানে নেমে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য