স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ জুন : মেলা মানেই মেলবন্ধন। মেলার মধ্য দিয়ে জাতি ধর্ম-বর্ণ সকল স্তরের মানুষের মধ্যে শান্তি সম্প্রীতি ফিরে আসে। ভগবানকে দেখা যায় না। কিন্তু রথ সহ বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে সকলে ভগবানকে উপলব্ধি করতে পারে। এই উপলব্ধি মানব জীবনে অনাবিল আনন্দ, সুখ ও শান্তি। ঐতিহ্যবাহী মেলাঘর রথযাত্রা উৎসবকে কেন্দ্র করে আয়োজিত মেলার উদ্বোধন করে বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা।
তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর ও মেলাঘর পুর পরিষদের যৌথ উদ্যোগে ঐতিহ্যবাহী মেলাঘর রথযাত্রা উৎসব বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বাড়ি মুক্তাঙ্গন মঞ্চে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপাহীজলা জেলা সভাধিপতি সুপ্রিয়া দাস দত্ত, সিপাহীজলা জেলা শাসক বিশ্বশ্রী বি এবং রাজ্যের বিশিষ্ট সমাজ সেবক কিশোর বর্মন ও দেবব্রত ভট্টাচার্য। মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে সূচনা করেন। মাঝখানে দুটি বছর করোণার জন্য রথযাত্রা উৎসব বন্ধ থাকলেও মানুষের মধ্যে মেলাঘরের রথের যাত্রার উৎসবে আনন্দ কোন কিছুতেই কমেনি । বরং শান্তি সম্প্রীতি ও মিলন মেলার বন্ধন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৬৫ সাল থেকে মেলাঘরে ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়ে আসছে। বহু বছর ধরে গোটা মহকুমা ও জেলায় মানুষের মধ্যে এই মেলাকে কেন্দ্র করে শান্তি সম্প্রীতির ঐতিহ্য বিরাজ করছে।
সারা বিশ্বের একজন ঈশ্বর হল জগন্নাথ। যারা প্রবীন মানুষ আছেন তারা বিচার করবেন আগে কি ছিল, আর এখন কি হয়েছে। পৌঁছে দিতে হবে নবীন প্রজন্মের কাছে। এই ঐতিজ্যকে বাচিয়ে রাখতে হবে। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর এই ক্ষেত্রে কাজ করছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত মেলায় পসরা নিয়ে বসেন দোকানীরা। এদিন জগন্নাথ মন্দিরে পূজা দেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা। রথ উৎসবকে কেন্দ্র করে মহকুমার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তদের সমাগম ঘটে মেলাঘর। মুক্তমঞ্চে আগামী ৯ দিন ব্যাপী চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।