স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৮ জুলাই : ৯ জুলাই, বুধবার কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা সর্বভারতীয় ধর্মঘটে শামিল হচ্ছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন। গত একমাস ব্যাপী রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল সিপিআইএম এবং বামফ্রন্টের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের পক্ষ থেকে ঝড়ো প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু বরাবরই এক বিরোধিতা করে চলেছে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। সামাজিক মাধ্যমে এই ধর্মঘট প্রত্যাহারের দাবি করছে। অপরদিকে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে ৯ জুলাই রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিস এবং সরকার অধীনস্থ অফিস খোলা থাকবে।
এরই মধ্যে ধর্মঘটের আগে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের একটি প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী জানিয়েছেন, ৯ জুলাই ভারতের ১০ টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন যৌথভাবে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। মোট ১৭ দফা দাবিতে এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ২০১৯-২০ বছরে দেশের দিল্লিতে যে কৃষক আন্দোলন হয়েছিল সেই কৃষক আন্দোলন থেকে গড়ে ওঠা পাঁচ শতাধিক কৃষক সংগঠনও এই ধর্মঘটের সমর্থন করেছে। কারণ দেশের শ্রমিকদের উপর আঘাত আসা মানে কৃষকদের উপর আঘাত আনা। কারণ দেশের শ্রমিকদের সঙ্গে কৃষকরা অতঃপরভাবে জড়িত। তাই যেহেতু ভারত বর্ষ কৃষি প্রধান দেশ, তাই কৃষক সংগঠন গুলি এই ধর্মঘট সমর্থন করেছে। এবং তারাও সাধারণ ধর্মঘটের পাশাপাশি গ্রামীণ ধর্মঘটের ডাক দিয়ে শামিল হবে। ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষও দল-মত নির্বিশেষে এই ধর্মঘটে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানানো হচ্ছে। কারণ দেশের বর্তমান বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের নীতির কারণে দেশের কৃষি এবং শিল্প ধ্বংস হচ্ছে। অর্থাৎ দেশের কৃষক ও শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। তাই কৃষি এবং শিল্প বাঁচাতে না পারলে দেশ বাঁচানো সম্ভব হবে না। তিনি সরকারের সমালোচনা করে আরো বলেন, কৃষি এবং শিল্প ধ্বংস করার জন্য মোদি সরকার দেশের সংবিধানের উপরও হামলা চালাচ্ছে। তাই একদিক দিয়ে জীবন জীবিকা ও সম্পদ রক্ষার লড়াই, অপরদিক দিয়ে রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াই বলে জানান তিনি।