স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১ জুলাই : ঢাক ঢোল পিটিয়ে গুণগত শিক্ষার প্রচারে ব্যস্ত সরকার। অথচ রাজ্যের বিভিন্ন মহকুমা এলাকায় বিদ্যালয় গুলি অবস্থা অত্যন্ত করুন। বিদ্যালয় গুলিতে কি সমস্যা রয়েছে তা সরকারের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাতে আন্দোলনে নামছে ছাত্রছাত্রী এবং গেরুয়া ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ।
মঙ্গলবার বিষয়কেন্দ্রিক শিক্ষকের অভাব এবং ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষ সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সালেমা কলোনি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে তালা ঝুলালো অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যরা। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের মধ্যে ইতিহাস বিষয়ক শিক্ষক নেই। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জানা যায়, বহুবার বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষককে জানানোর পরেও এখন পর্যন্ত তাদের বিষয়কেন্দ্রিক শিক্ষক দেওয়া হয় নি। এবং বিদ্যালয়ের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষের অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। মেয়াদোত্তীর্ণ পাকা ঘরের মধ্যে তাদের ক্লাস হয়। প্লাস্টার খুলে ছাত্রছাত্রীদের উপর পড়ছে। অথচ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তারা শুধু আশ্বাস দিয়ে চলেছেন বিষয়টি উপরমহলকে জানানো হয়েছে। তাই প্রতিবাদে তারা এদিন বিদ্যালয়ে তালা ঝুলাতে বাধ্য হয়েছে। এদিকে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যরা জানান, গত দেড় বছর ধরে বিদ্যালয়ে ইতিহাস বিষয়ক শিক্ষক নেই। গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়েছিল। অথচ এখন পর্যন্ত তারা কোন প্রতিক্রিয়া পায়নি।
অপরদিকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের অবস্থা অত্যন্ত ভয়াবহ হয়ে আছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের মধ্যে পানীয় জলের সংকট, শৌচালয়ের সমস্যা এবং মিড ডে মিল খাওয়ার সঠিক বন্দোবস্ত নেই। এমনকি বিদ্যালয়ের মধ্যে দেওয়াল পর্যন্ত নেই। তাই তারা তারা ঝোলাতে বাধ্য হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন আইএস। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন খুব দ্রুত তাদের সমস্যার সমাধান করা হবে। বিশেষ করে বুধবার বিদ্যালয়ে একজন ইতিহাস বিষয়ক শিক্ষক দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যাগুলির সততা রয়েছে। বিদ্যালয়ের বিষয়কেন্দ্রিক শিক্ষক নেই। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। অথচ শিক্ষক সংকটের কারণে পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি শৌচালয় এবং পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। তবে এখন দেখার বিষয় ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা কত দ্রুত সমাধান করা হয়।