স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৭ জুন : কমেডি ফিল্মে গরুর ইনজেকশন মানুষের শরীরে দিয়ে দেওয়ার ঘটনা সবাই দেখেছে। অথচ মেয়াদোত্তীর্ণ এন্টিবায়োটিক ইঞ্জেকশন কারোর শরীরে দিতে দেখেনি কেউ। কিন্তু সুশাসন জামানায় ত্রিপুরায় এই আজব কান্ড ঘটে গেল বৃহস্পতিবার। বিশালগড় পুর পরিষদের কর্পোরেটর নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী শরীরে এই মেয়াদ উত্তীর্ণ ইনজেকশন পুশ করেছেন স্বাস্থ্যকর্মী।
তবে মূর্খতা যে কতটা মাথা চারা দিয়েছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অথচ কুম্ভ নিদ্রায় আচ্ছন্ন প্রশাসন। গোটা রাজ্যে বিভিন্ন ফার্মাসির মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ ভরপুর হয়ে আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনরকম অভিযান নেই। যার খেসারত দিতে হতে পারে বিশালগড়ের কর্পুরেটরকে। কারণ ঘটনাটি এমনই ঘটেছে। বিশালগড় বাজারের অ্যাপোলো মেডিকেলস্ থেকে নিখিল রঞ্জন চক্রবর্তী পরিবার জেনোসিন ইনজেকশন ক্রয় করে নিয়ে যায়। বাড়িতে নিয়ে যথারীতি স্বাস্থ্যকর্মীকে দিয়ে ইনজেকশনের মেয়াদকাল না দেখে শরীরে পুশ করে দেন। পরবর্তী সময়ে ইনজেকশনের প্যাকেটে দেখতে পায় লেখা রয়েছে ২০২৪ সালের ১১ মাস পর্যন্ত এর মেয়াদ ছিল। সাথে সাথে নিখিল বাবুর পরিবার ফার্মাসির মধ্যে আসেন। ফার্মাসির কর্ণধার অতনু দেবনাথের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন।
অতনু দেবনাথ জানান তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। ইনজেকশন বিক্রির সময় ফার্মাসির মধ্যেও ছিলেন না। হয়তো কোন কর্মী ভুলবশত এই ইনজেকশন বিক্রি করেছেন। এদিকে নিখিল বাবুর পরিবারের বক্তব্য মানুষের জীবন দায়ী ঔষধ নিয়ে এভাবে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যা খুশি চলছে। এখন বাকিটা পরবর্তী সময় কি হয় সেটাই লক্ষ্যনীয়। যাইহোক এটা বলার অপেক্ষায় রাখে না যারা ওষুধ বিক্রি করেন বা যারা ওষুধ ক্রয় করেন এবং যেসব স্বাস্থ্যকর্মী ইনজেকশন কিংবা ওষুধ রোগীকে দেন তাদের সকলকে মেয়াদ দেখে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।