স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৬ জুন : মধ্যপ্রদেশে এক বিজেপি নেতা এক আদিবাসির শরীরে প্রস্রাব করেছে। ২৪ জুন আমবাসা টাউন হলে আদিবাসী কংগ্রেসের সম্মেলনে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন এই বিষয়টি নিয়ে শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে বিজেপি। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আন্দোলন করে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে জনজাতি মোর্চার কর্মী সমর্থকরা।
ভাঙচুর চালায় চেয়ার, টেবিল সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। এর পাল্টা প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাস্তায় নামল কংগ্রেস।বৃহস্পতিবার ধর্মনগরে বিক্ষোভ মিছিল সংগঠিত করে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। ধর্মনগর জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত এইদিনের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিদ চৌধুরী, সম্পাদক চয়ন ভট্টাচার্য, সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ পাল, প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সদস্য হীরালাল নাথ সহ অন্যান্যরা। কংগ্রেসের মিছিলটি ধর্মনগর শহর পরিক্রমা করে ধর্মনগর থানার সামনে যায়। সেখানে কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। উত্তর জেলা কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক দিগ্বিজয় চক্রবর্তী জানান, বিগত ১১ বছর ধরে দেশ জুড়ে প্রতিটি জাতি গোষ্ঠীর উপর অন্যায় অবিচার চালিয়ে যাচ্ছে।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে ব্যর্থ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মধ্যপ্রদেশে এক বিজেপি নেতা এক আদিবাসির শরীরে প্রস্রাব করেছে। এই বিষয়টি আমবাসায় এক সভায় তুলে ধরে কংগ্রেস বিধায়ক সুদিপ রায় বর্মণ। তার জন্য বিধায়কের সরকারি আবাসে হামলা চালানো হয়। তারই প্রতিবাদে এইদিনের মিছিল ও থানা ঘেরাও কর্মসূচি। পাশাপাশি তিনি দাবি জানান বিধায়কের আবাসে হামলা চালানোর ঘটনার সাথে যুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এদিকে একই বিষয় নিয়ে তেলিয়ামুড়া জেলা কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে এক বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।এদিন এই বিক্ষোভ কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে জেলা কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে এক মিছিল তেলিয়ামুড়া শহর পরিক্রমা করে। পরে ইন্দিরা গান্ধীর মর্মর মূর্তির পাদদেশে এক পথ সভার আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক অশোক কুমার বৈদ্য, জেলা কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য,প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক কার্তিক দেবনাথ, জেলা কৃষাণ কংগ্রেস কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার দাস, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি অতনু পাল প্রমুখ। এদিন পথ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাক্তন বিধায়ক অশোক কুমার বৈদ্য বলেন যে, রাজ্য বিজেপি তাদের জনজাতি সংগঠনকে বিভ্রান্ত করে তাদের লেলিয়ে দিয়ে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের সরকারি আবাসে হামলা সংঘটিত করেছে। এই ঘটনায় তীব্র ধিক্কার জানাই জেলা কংগ্রেস কমিটি। তিনি বলেন বিজেপির জনজাতি দরদী তথ্য সামনে আসতেই রাজ্য বিজেপি চরম অস্বস্তিতে পড়ে গিয়ে তাদের জনজাতি সংগঠনকে বিভ্রান্ত করে দলের গুন্ডা বাহিনীকে দিয়ে বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের সরকারি আবাসে হামলা করিয়েছে। আসলে বিজেপি বুঝতে পেরেছে যে, এই রাজ্যে তাদের পায়ের নীচের মাটি সরে যাচ্ছে। তাই মানুষকে বিভ্রান্ত করে হামলা হুজ্জতির মাধ্যমে ক্ষমতায় ঠিকে থাকতে চাইছে। কিন্তু মানুষ এখন আর বোকা নয় যোগ্য সময়ে যোগ্য জবাব দিতে এই রাজ্যের মানুষ এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে শাসক ও বিরোধী পাল্টা লড়াইয়ে রাজ্য রাজনীতি ব্যাপক সরগরম হয়ে উঠেছে।

