স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৬ জুন : রাজ্যের প্রধান রেফারেল হাসপাতালে গ্যাস্ট্রলজি বিভাগ, এনসথোলজি বিভাগ, সি টি পি এস বিভাগ এবং গেস্টো এন্ট্রলজি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এক জটিল অস্ত্রপ্রচার হয়। রাজ্যে প্রথম এ ধরনের অস্ত্রপ্রচারে সফলতা এসেছে। বৃহস্পতিবার আগরতলা গভমেন্ট মেডিকেল কলেজ এবং জিবি হাসপাতালের কনফারেন্স হলে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান হাসপাতালের মেডিকেল সুপার ডাঃ শংকর চক্রবর্তী। তিনি বলেন, রোগীর নাম প্রসেনজিৎ দাস। বয়স ২৩ বছর।
দেড় বছর আগে রাবার প্রসেসিং করার এসিড খেয়ে ফেলে সে। তারপর চিকিৎসা করার পরেও দিন দিন অসুস্থ হয়ে পড়ছিল সে। কারণ তার খাদ্যনালী ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত সে জল পর্যন্ত খেতে পারত না। গত ৩ জুন জিবি হাসপাতালে আসে সে। তারপর তার এন্ডোসকপি করার পর দেখা যায় খাদ্যনালী প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে পড়েছে। স্যুইচ সমান ফাঁকা জায়গা দিয়ে কিছুটা খাদ্য ভেতরে প্রবেশ করায় সে বেঁচে আছে। তারপর চিকিৎসকরা তার ভেতরে স্ট্যান্ড বসিয়ে খাদ্য নালীর চিকিৎসা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই সাড়া দিয়ে উঠছিল না ২৩ বছর বয়সের এই যুবকের খাদ্যনালী। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকরা যৌথভাবে তার অস্ত্রপ্রচার করার উদ্যোগ নেয়।
এই অস্ত্রপ্রচারে ছিলেন সি টি পিএস বিভাগের ইনচার্জ কনক নারায়ণ ভট্টাচার্যী, গ্যাস্ট্রলজি বিভাগের ইনচার্জ দীপঙ্কর শংকর মিত্র সহ কয়েকজন চিকিৎসক। তাঁরা এই জটিল অস্ত্র পাচার করে তার খাদ্যনালীর উপরে ভাগে নষ্ট হয়ে যাওয়া জায়গাটি ফেলে পাচনতন্ত্র থেকে মাংসের টুকরো নিয়ে প্রতিস্থাপন করেছেন। বর্তমানে এই যুবক সুস্থ রয়েছে বলে জানান চিকিৎসক এবং প্রসেনজিৎ নিজে।