স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৯ জুন : আগামী ৩ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে পুরাতন আগরতলার ঐতিহ্যবাহী খারচি পূজা। প্রতিবছরের মতো এবছরও ব্যাপক লোকসমাগমের মধ্য দিয়ে খারচি পূজা সাত দিনব্যাপী চলবে। এর আগে সমস্ত ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে গেলেন পশ্চিম জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাধিপতি বিশ্বজিৎ শীল। তিনি পরিদর্শনে যাওয়ার পর জানান এবছর অন্যান্য বৎসরের মতই ব্যাপক জাকজমক ভাবে পূজা হবে। দেশ-বিদেশ থেকে দর্শনার্থীরা উপস্থিত হবে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে সাড়ে আট শতাধিক টিএসআর।
একই সাথে থাকবে সিসি ক্যামেরা সহ নেশার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা। তবে এদিন সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে মন্দিরের ভেতর কতটা অব্যবস্থা তৈরি হয়ে আছে সেটা তুলে ধরলেন মন্দিরের চন্ডী পাঠক সরবিন্দ চক্রবর্তী। তিনি পুরোহিতের ভাষায় জানান, আগামী ২৯ জুন থেকে শুরু হবে খারচি পূজা। ২৯ জুন জ্ঞাতি ভোজন, ৩০ জুন সংযম, ১ জুলাই জারি পূজা, ২ জুলাই স্নান যাত্রা এবং তিন জুলাই খারচি পূজার শুভ আরম্ভ হবে। সকাল সাড়ে নয়টায় মধ্যে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এই পূজা করা হয়। তিনি বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, দর্শনার্থীরা যাতে এই পূজা সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য সহযোগিতা করেন। পাশাপাশি মন্দিরের পুরোহিতদের যেন সহযোগিতা করেন। কারণ কিছু দর্শনার্থীদের জন্য মন্দিরের পুরোহিতদের সমস্যায় পড়তে হয়। চতুর্দশ দেবতার নিদ্রা দেওয়ার পরেও অনেকে দাবি করেন ভোগ দেওয়ার জন্য। তিনি আরো বলেন মন্দিরের ভেতরে একটি লাইট পর্যন্ত নেই।
২ জুলাই মন্দির থেকে মাকে বের করে নেওয়ার পর খালি থাকবে। যদি লাইট লাগানো হয় তাহলে এই মন্দিরের ভেতর কাজ করা যায়। উল্লেখ্য, খারচি পূজা ও মেলার চেয়ারম্যান হলেন বিধায়ক রতন চক্রবর্তী। এতদিন ধরে তিনি কেন এই বিষয়টি থেকে গুরুত্ব দেননি সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ত্রিপুরা রাজ্যের দশটি পর্যটন কেন্দ্রের মধ্যে চতুর্দশ দেবতা মন্দির হল অন্যতম। অথচ গুরুত্বহীনভাবে পরিচালনা হচ্ছে সেটাই স্পষ্ট হয়ে পুরোহিতের কথায়।

