স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৭ জুন: শাসক দলের দুই নেতৃত্বের দ্বারা শ্লীলতাহানি। ঘটনা
ধর্মনগর থানাধীন ঢুপিরবন্দ গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগ শাসক দলীয় নেতা ও নেত্রী মহিলার গোপনাঙ্গে মরিচ লাগিয়ে দিয়েছে। জানা যায়, ওই মহিলা বিজেপি নেত্রী তথা পঞ্চায়েত মেম্বাররের স্বামীর কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে এমত নেক্কারজনক কান্ড ঘটে নেত্রীর স্বামী। শাসক দলীয় নেত্রীর নাম হাজিরা বেগম স্বামী আছাড় উদ্দিন। জানা যায় ধর্মনগর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর এই ঘটনার ২০ দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ধর্মনগর মহিলা থানার পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনো রকম পদক্ষেপ নেয় নি।
বাধ্য হয়ে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার মহিলা থানা ঘেরাও করে এলাকাবাসী। মহিলা পুলিশ অফিসারের সাথে কথা বললে পুলিশ জানায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তখন গ্রামবাসী প্রশ্ন করেন যদি ব্যবস্থা নিয়েই থাকে তাহলে কেন মামলা হয়নি, কেন বিষয়টি আদালত পর্যন্ত যায়নি এবং কেন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়নি? এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি মহিলা পুলিশ অফিসার। স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত নারী নেত্রী স্বামী বিভিন্ন সময় মহিলাকে বিভিন্নভাবে প্রস্তাব দিয়ে জ্বালা যন্ত্রণা করতেন। তারপর গত কুড়ি দিন আগে নির্যাতিতা মহিলা তার সন্তানকে নিয়ে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময় অভিযুক্ত নারী নেত্রী ও উনার স্বামী সহ তার পরিবারের বাকি লোকজনেরা মহিলাকে টেনে বাড়িতে নিয়ে যায়। তারপর শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে এবং গোপনাঙ্গে মরিচ লাগিয়ে দেয় বলে অভিযোগ আক্রান্ত মহিলা এবং এলাকাবাসীর। এলাকাবাসীর দাবি, নিরীহ মহিলা যাতে বিচার পায় তার দাবি জানানো হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের কাছে। অথচ পুলিশ এক অজ্ঞাত কারণে শাসক দলের নেতা নেত্রী হয়ে কাজ করছে বলে মনে করছে এলাকাবাসী।