স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৪ জুন :সম্প্রতি ইন্দ্রনগর এলাকার শরিফুল নামে এক যুবক ত্রিকোণ প্রেমের বলি হয়। ৮ জুন নিখোঁজ হয়েছিল সে। সে রাজধানীর ইন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দা শরিফুল হাসান। সেই দিনই তাকে হত্যা করে আততায়ীরা তার মৃতদেহ গন্ডাছড়ায় নিয়ে ডীপ বক্সে লুকিয়ে রাখে। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে। এই ঘটনার সাথে যুক্তরা বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে। শনিবার মৃত শরিফুলের বাড়িতে যান বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী।
সাথে ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ শঙ্কর প্রসাদ দত্ত, নারী নেত্রী কৃষ্ণা রক্ষিত, অমল চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা। বিরোধী দলনেতা এইদিন মৃত শরিফুলের মা-বাবার সাথে কথা বলে গোটা ঘটনার বিষয়ে অবগত হন। তার পর পুত্র হারা মা-বাবাকে সমবেদনা জানান। জিতেন্দ্র চৌধুরী জানান চক্রান্তের শিকার হয়েছে শরিফুল। তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আগরতলা শহরে তাকে হত্যা করে মৃতদেহ গণ্ডাছড়ায় নিয়ে গিয়ে ডিপ ফ্রিজে লুকিয়ে রাখা হয়। এ নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, সারা রাজ্যে এক বিষাক্ত হওয়া তৈরি করার চেষ্টা করছে। এ শাসকগোষ্ঠীর একটা অংশ সাম্প্রদায়িকভাবে এবং ধর্মীয়ভাবে বিভেদ লাগিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তাই এটা একটা তাদেরই কর্মকাণ্ডের একটা অংশ।
এ ধরনের ঘটনা রাজ্যে আগেও হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই ঘটনার পেছনে মূলত কারণ হলো যারা ধর্ম ও সম্প্রদায়ের ঠিকাদার বলে নিজেদের মনে করে তারাই এই ঘটনার জন্য দায়ী। কারণ এই তরুণ-তরনের ভালোবাসাকে তারা অপছন্দ করে এই ঘটনা সংগঠিত করেছে। দোষীদের চরম শাস্তি দিয়ে উদাহরণ তৈরি করতে হবে। ত্রিপুরা রাজ্য পুলিশের জন্য এটা একটা অগ্নিপরীক্ষা বলে অভিমত ব্যক্ত করেন বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন সিপিআইএমের পক্ষ থেকে এর বিরুদ্ধে সরকারের কাছে দাবি থাকবে যারা এই ঘটনা সংঘটিত করেছে তাদের যাতে কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি হয়।