স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১০ জুন : বাইক বাহিনী দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে রুখতে পারবে না বিজেপি। সুরমা সহ বাকী নির্বাচনী এলাকায় যেভাবে রাজনৈতিক সন্ত্রাস চলছে তা নির্বাচন কমিশনের গোচরে নেওয়া হয়েছে। যদি কোনো বিচার না পায় বা আর কোন সন্ত্রাস তৃণমূল কংগ্রেসের উপর আক্রমণ সংঘটিত করা হয় তাহলে রাস্তায় নেমে জনমত সংগ্রহ করে প্রতিকার চাইবে তৃণমূল কংগ্রেস।
কিন্তু কোন প্রার্থী তুলবে না। শুক্রবার আগরতলা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে হুঁশিয়ারি তৃণমূল কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্ব রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন গত বৃহস্পতিবার সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রে এক কর্মীকে তৃণমূল করার দায়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বাইক বাহিনী। এবং সেই বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গার ফ্ল্যাগ ফেস্টুন সহ নির্বাচনী প্রচার সজ্জা নষ্ট করেছে। বিগত লোকসভা, পুর নির্বাচনের মতো সন্ত্রাস করে তৃণমূল কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতে চাইছে। এগুলি তৃণমূল কংগ্রেস মুখ বুঝে সহ্য করবে না। নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাতে জনমত সংগ্রহ করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। আরো বলেন বিজেপি গোষ্ঠী কোন্দল এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে তারা নিজেরাই নিজেদের কর্মীদের মারধর করছে। তাহলে নির্বাচনে কিভাবে বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেসের নিরাপত্তা থাকবে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যারো ২০২০ -এ লক্ষ করা গেছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাস এবং নারী নির্যাতনের ঘটনার পরিসংখ্যান ছাপিয়ে গেছে। আইন শৃঙ্খলা চরম অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
রাজনৈতিক সন্ত্রাস এবং পাল্টা আক্রমণ করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানান তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুস্মিতা দেবের। তিনি নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানান যাতে শান্তিপূর্ণ অবাধ নির্বাচন সংঘটিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
পাশাপাশি এদিন বেকার সমস্যার উপর ত্রিপুরা ফাইলস ২ -র সূচনা করা হয়। কারণ রাজ্যে বেকার সমস্যা ক্রমশ মারাত্মক আকার ধারণ করছে। গত চার বছরে বেকারদের ওপর একের পর এক নির্যাতন হয়েছে। কিন্তু সরকার ৫০ হাজার চাকরি প্রথম বছরেই দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু আজ পাহাড় সমান বেকার সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যে। বেকাররা প্রতিবাদে সামিল হলে প্রশাসন লেলিয়ে দিয়ে আন্দোলন করছে সরকার বলে প্রতিবাদ জানান সুবল ভৌমিক। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনের পরে এদিন প্রদেশ ও বি সি মোর্চার সহ-সভাপতি সুব্রত চৌধুরী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। দলীয় পতাকা হাতে তুলে দিয়ে স্বাগত জানান নেতৃত্ব।