Monday, November 17, 2025
বাড়িরাজ্যমুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চাইলেন স্ত্রী

মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্বামীর প্রাণ ভিক্ষা চাইলেন স্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২১ মে : ঘরে ছেলে বিকলাঙ্গ, এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বাবা। স্মৃতিশক্তি হারিয়ে বর্তমানে ঘরের এই গৃহকর্তা বিছানায় শয্যাশায়ী। স্বামীর উন্নত চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রান ভিক্ষা চাইলেন অসহায় স্ত্রী। ঘটনা গোলাঘাটি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কাঞ্চনমালা ১ নং ওয়ার্ডের মুসলিম পাড়া এলাকায়। বাড়ির গৃহকর্তার নাম জামাল মিয়া। জানা যায় গত এপ্রিল মাসের গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা ১ নং ওয়ার্ডের মুসলিম পাড়ার বাসিন্দা জামাল মিয়াকে রোজভেলি পার্ক সংলগ্ন এলাকা থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার হয়। পরে অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা হাসপাতাল নিয়ে যায়।

খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে গিয়েছিল জামাল মিয়ার স্ত্রী সহ অন্যান্যরা। বেশ কিছুদিন চিকিৎসা করিয়ে জিবি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় জামাল মিয়াকে। কিন্তু অসুস্থ জামাল মিয়ার শারীরিক অবস্থার কোন উন্নত হয়নি। জামাল মিয়ার পরিবারে যা সঞ্চয় করা অর্থ ছিল সবকিছু খরচ করেও জামাল মিয়াকে সম্পূর্ণভাবে সুস্থ করে তুলতে পারেনি। জামাল মিয়া ছিলেন একজন দিনমজুর। তার পরিবারের রয়েছে তার স্ত্রী সহ এক বিকলাঙ্গ ছেলে এবং এক মেয়ে। জামাল মিয়াকে চিকিৎসা করে সমস্ত অর্থ খরচ করে এখন তাদের পরিবারে না খেয়ে মরার মত অবস্থা হয়ে পড়েছে। বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জামাল মিয়ার স্ত্রী নিজের স্বামীর এই অসুস্থতার কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি জানিয়েছেন উনার স্বামী জামাল মিয়ার মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে। যার ফলে তিনি এখন বাড়িতে বিছানায় শয্যাশায়ী, কথাও বলতে পারছেন না। এমনকি কাউকে চিনতেও পারছেন না। তিনি আরো জানিয়েছেন স্বামীকে উন্নত চিকিৎসা করানোর মতো অর্থ এবং সামর্থ্য উনার কোনটাই নেই। স্বামীর ঔষধ কেনা এবং পরিবারের সদস্যদের অন্য জোগাড় করার ক্ষমতা তিনি হারিয়ে ফেলেছেন কেননা পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন জামাল মিয়া আজ তিনি অসুস্থ হয়ে বিছানায় শয্যাশায়ী। এই অবস্থায় জামাল মিয়ার স্ত্রী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাই তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বুধবার দুপুরে অসুস্থ স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী যেন তার স্বামীর দিকে একটু মুখ তুলে তাকান এবং তাকে সুস্থ করে তোলার ব্যবস্থা করেন। তবে গোটা পরিবার বর্তমানে আর্থিক অবস্থার কারণে ভেঙে পড়েছে। সরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারবে গোটা পরিবার।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য