Friday, February 7, 2025
বাড়িরাজ্যমহিলা চিকিৎসকের দাদাগিরিতে হাসপাতালে উত্তেজনা

মহিলা চিকিৎসকের দাদাগিরিতে হাসপাতালে উত্তেজনা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ মে : শনিবার রাতে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ। রেফার করা রোগীকে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনার জেরে যান দুর্ঘটনায় আহত দুই রোগীকে নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটে যায় হাসপাতালের চিকিৎসক, সিকিউরিটি গার্ড, স্বাস্থ্যকর্মী এবং রোগীর আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে। কোন এক সময় উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির চরম আকার ধারণ করে।

 ঘটনা সুত্রে জানা যায় বিশালগড় থানাধীন পূর্ব গকুলনগরের বাসিন্দা লিটন দাস শনিবার বিশালগড় থেকে TR 01 L 6014 নম্বরের বাইক নিয়ে আগরতলার যাবার সময় দুই নম্বর গেইট এলাকায় আসতেই বিশ্রামগঞ্জের বাসিন্দা রাজীব দেববর্মাকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতরভাবে জখম হয়ে বাইক চালক ও পথচারী দুজনেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় বিশালগড় দমকল কর্মীদের। তারা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে আহতদের বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু আহতদের নাক মুখ দিয়ে প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছিল ও বাইক চালকের পা ভেঙ্গে দু টুকরো হয়ে যায়। দুজনের অবস্থা এতটা গুরুতর হয়ে পড়ে যে চিকিৎসক তাদের তড়িঘড়ি জিবি হাসপাতালে রেফার করে দেন। তারপরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকে। রোগীর আত্মীয় পরিজনদের অভিযোগ ড্রেসিংরুমের লাইট বিকল হয়ে থাকায় ঠিকমতো ড্রেসিং ও সেলাই পর্যন্ত করা যাচ্ছিল না। মোবাইলের ফ্লেশ লাইট এবং টর্চের আলো দিয়ে কোনমতে ব্যান্ডেজ করা হয়। এরপর চিকিৎসক তন্নিষ্ঠা চক্রবর্তীর নির্দেশে একটি এম্বুলেন্সে দুইজন গুরুতর আহত রোগীকে নেওয়ার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে রোগীর আত্মীয় পরিজনরা। তারা আলাদা দুটি এম্বুলেন্সে করে রোগী নেওয়ার দাবি জানাতে থাকে। কারণ ছোট এম্বুলেন্সে রোগী নেওয়ার জন্য একটি মাএ সিট। অপরটি রোগীর পরিজনদের বসার জন্য। কিন্তু চিকিৎসক সহ হাসপাতালে কর্মীরা রোগীর আত্মীয় পরিজনদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে এই অ্যাম্বুলেন্সে করেই গুরুতর আহত দুজন রোগীকে নেওয়ার জন্য। কিন্তু তারা এতে রাজী না হওয়ায় একটা সময় চিকিৎসক তনিষ্ঠা চক্রবর্তী উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে হুমকি দিতে থাকেন। জিবিতে গেলে তাদেরকে দেখে নেওয়া হবে এমনটাই অভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের। চিকিৎসকের এহেন ভূমিকায় তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে রোগী এবং রুগীর পরিজনদের মধ্যে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় হাসপাতালে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা জওয়ানদের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য