স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৮ মে : লাথি দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর সন্তান নষ্ট করে দিল পাষন্ড শাশুড়ি। শুধু তাই নয়, শনিবার রাতে গৃহবধূকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। রবিবার পশ্চিম মহিলা থানা দ্বারস্থ হয়ে মামলা করেন গৃহবধূ এবং তার পরিবার। গৃহবধূর নাম উমাশ্রী বনিক। স্বামীর নাম আবীর লাল বর্ধন, শশুরের নাম বিশ্বজিৎ বর্ধন এবং শাশুড়ির নাম বিষ্ণুপ্রিয়া বর্ধন। ঘটনার বিবরণ জানা যায় গত এক বছর তিন মাস আগে রাজধানীর কের চৌমুহনি এলাকার বাসিন্দা আবীর লাল বর্ধনের সাথে এয়ারপোর্ট এলাকার বাসিন্দা উমাশ্রী বণিকের বিয়ে হয়।
গৃহবধূ উমাশ্রী বনিক জানান, বিয়ের কয়েক মাসের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাংসারিক ঝামেলা শুরু হয় এবং গৃহবধূর স্বামী শশুর শাশুড়ি ও স্বামীর ছোট ভাই গৃহবধুর উপর নির্যাতন শুরু করে। পাশাপাশি গৃহবধূর স্বামী গৃহবধুর কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা চাইতো এবং তা যদি গৃহবধূ জানতে চেষ্টা করে তখন তার উপরে নির্যাতন চালাতো তার স্বামী। নির্যাতিতা গৃহবধু আরো জানান, তার কাছ থেকে স্বামীর টাকা নিয়ে তার ছোট ভাইকে দিত। ছোট ভাই নাকি নেশায় আসক্ত, সে নেশা করার জন্য তাকে টাকা দিতে হতো। তখন গৃহবধূ সে বিষয়টা দেখতে পেয়ে টাকা না দেওয়ার কথা বললে তখন সবাই মিলে অত্যাচার শুরু করে। শনিবার রাতেও এরকম অত্যাচারের শিকার হয় গৃহবধূ উমাশ্রী বনিক।
এই অত্যাচার সইতে না পেরে রবিবার পশ্চিম মহিলা থানায় অভিযোগ করার জন্য ছুটে আসে এবং সংবাদ মাধ্যমকে তার নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরে। তিনি আরো জানান গত কয়েকদিন আগে অভিযুক্ত শাশুড়ি তার পেটে লাথি দিয়ে আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাকে নষ্ট করে দেয়। তারপর তার বাপের বাড়ি লোকজনেরা হাসপাতাল নিয়ে চিকিৎসা করেন। তিনি আরো জানান তার শশুর ব্লাড মাউথ ক্লাবের কোষাধক্ষ্য। বিভিন্ন সময় হুমকির সুরে বলেন গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনেরা উনার কোন কিছুই করতে পারবে না। তাই শেষ পর্যন্ত থানায় এসে মামলা করতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান গৃহবধূ। এখন দেখার বিষয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।