স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৭ মে :দৃষ্টিহীনদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ১৮ দফা দাবিতে অল ত্রিপুরা ব্লাইন্ড অ্যাসোসিয়েশন শনিবার সমাজ কল্যাণ এবং সমাজ শিক্ষা অধিকার দপ্তরে ডেপুটেশন প্রদান করা হয়। অভয়নগর স্থিত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কার্যালয়ে গিয়ে প্রতিনিধি মূলক ডেপুটেশন দপ্তরের অধিকর্তা তপন কুমার দাসের কাছে দেওয়া হয়। প্রতিনিধি দলের উপস্থিত অল ত্রিপুরা ব্লাইন্ড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মিঠুন সাহা জানান, দৃষ্টিহীনদের মোট ১৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে দপ্তরের অধিকর্তার কাছে। কারণ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত রাজ্যের দৃষ্টিহীনরা।
দাবিগুলি মূলত, বিশেষ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দৃষ্টিহীনদের বিভিন্ন দপ্তরের শূন্য পদ গুলি অবিলম্বে পূরণ করা। কারণ বিশেষ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগে শূন্যপদ পূরণ হতো। বর্তমানে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে আছে। তাই স্পেশাল ড্রাইভের মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ করতে দাবি করা হয় দপ্তরের কাছে। দ্বিতীয় দাবিটি হলো, দৃষ্টিহীনদের সামাজিক ভাতা ২০০০ টাকা করে দেওয়া হয়। তাদের ভাতা বৃদ্ধি করে ৫০০০ টাকা করার জন্য দাবি করা হয়েছে। তৃতীয়ত রাজ্যে ব্রেইল প্রেস চালু করা। কারণ দৃষ্টিহীন ছাত্রদের এখনো বইয়ের জন্য পশ্চিমবঙ্গের উপর নির্ভর করতে হয়। সময় মত দৃষ্টিহীন পড়ুয়ারা ব্রেইল বই না পেয়ে সমস্যার শিকার হয়। যদিও আগরতলা বীরচন্দ্র লাইব্রেরীতে একটি ব্রেইল প্রিন্টার রয়েছে, সেটাও গত ছয় থেকে সাত বছর ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। যার জন্য পশ্চিমবঙ্গের উপর পুরোপুরি ভাবে নির্ভর করতে হয় রাজ্যের দৃষ্টিহীন ছাত্র ছাত্রীদের। তিনি আরো বলেন রাজ্যের দৃষ্টিহীন বিদ্যালয়গুলির মধ্যে শিক্ষক-স্বল্পতা রয়েছে। অতি দ্রুত যাতে শিক্ষক স্বল্পতা দূর করা হয় তার জন্য দাবি করা হয়েছে। অন্যতম দাবি হলো দৃষ্টিহীন কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় সরকার ৬০০০ টাকা করে ভাতা দেয়। কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যে ২০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। তা বৃদ্ধি করে ছয় হাজার টাকা করার দাবি করা হয়। তিনি আরো জানান, এই দাবিগুলি নিয়ে বহুবার দপ্তরকে অবগত করা হয়েছে। কিন্তু দাবি পূরণ হচ্ছে না। অবিলম্বে যদি দাবি গুলি নিয়ে সরকার এবং দপ্তর চিন্তা না করে তাহলে আগামী দিন দৃষ্টিহীনদের নিয়ে অন্য চিন্তা ভাবনা করা হবে বলে জানান তিনি।