স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ মে: বৃহস্পতিবার যথাযথ মর্যাদায় সাথে রাজ্যে পালিত হয় কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩ তম জন্মদিন। এদিন তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে কবি নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। আগরতলা নজরুল কলা ক্ষেত্রে কবি কাজি নজরুল ইসলামের আবক্ষ মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, মেয়র দিপক মজুমদার, চা উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, প্রাক্তন উপাচার্য অরুন উদয় সাহা সহ অন্যান্যরা।
ভারত ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য জগতে অগাধ বিচরণ ছিল বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের। তাঁর এদিন ছিল ১২৩ তম জন্মদিন। অখন্ডিত ভারতে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন তিনি। পরবর্তী সময় বাংলাদেশ জাতীয় কবি হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। ভারত ও বাংলাদেশকে সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়াস করেছিলেন রবীন্দ্র ও নজরুল। এই দুজনের চিন্তা ভাবনা নিয়েই বাংলীদের এগিয়ে জেতে হবে বলে আহবান জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। সংস্কৃতি, সাহিত্য , কবিতা না থাকলে মানুষের মনের ভাব প্রকাশ সম্ভব নয়। মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করতে রবীন্দ্র ও নজরুলের যে দিশা ও ভূমিকা ছিল তাকে স্বীকার করে সরকার প্রতিবছর কর্মকাণ্ড গ্রহণ করে বলে জানান তিনি।
কবি নজরুল স্মৃতি মঞ্চের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার ১২৩ তম জন্মদিবসে নজরুল স্মরণ অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে। গত ২৫ বছর যাবত এই দিনটি উদযাপন করা হয়। কিন্তু মাঝে দুই বছর কোভীডের কারনে এই জন্ম দিবস পালন করা যায়নি। স্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য স্বশরীরে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আশার বেশি মানুশ এতে অংশ নেয়। নজরুলকে শহরের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে গ্রামীন এলাকায় যুব সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই এই উদ্যোগ বলে জানান কবি নজরুল স্মৃতি মঞ্চের সম্পাদক চুনি লাল দেবনাথ। ২৮ ও ২৯ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতা। আগামী ২ জুন হবে পুরস্কার বিতরণ বলে জানান তিনি।