Wednesday, June 18, 2025
বাড়িরাজ্যপ্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রশাসনিক সহযোগিতা সঠিকভাবে মিলছে না বলে অভিযোগ সিপিআইএমের

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রশাসনিক সহযোগিতা সঠিকভাবে মিলছে না বলে অভিযোগ সিপিআইএমের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১২ মে :গত ১১ মে দুপুরে সিমনা বিধানসভা কেন্দ্রের বিস্তীর্ণ এলাকাতে প্রবল শিলাবৃষ্টি হয়। শিলা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় সিমনা বিধানসভা কেন্দ্রের তিন থেকে চার শতাধিক পরিবার। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়েছে। মঙ্গলবার সেই বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শনে যান সিপিআইএমের একটি প্রতিনিধি দল। প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম মোহনপুর মহকুমা কমিটির নেতা প্রণব দেববর্মা, মোহনপুর মহাকুমা সম্পাদক সুদীপ দেবনাথ, সিপিআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস, নারী নেত্রী কৃষ্ণা রক্ষিত।

তারপর সন্ধ্যায় সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কমিটির কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে সিপিআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস জানান, সিমনা বিধানসভা কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গিয়ে প্রথমে তহশীল অফিসে গিয়ে আগে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তারপর জানতে পারা গেছে বালুয়াছড়ায় ৪৩ পরিবারের একটি শিবির করা হয়েছে, চন্ডী ছড়ায় ৩৮ পরিবারের শিবির করা হয়েছে, শাংখলায় ৫৬ পরিবার এবং আখালিয়া ছড়ায় ১১৫ পরিবারের। পরে হিসেব করে দেখা গেছে আরো বহু পরিবার রয়েছেন যারা গবাদি পশু বাড়িতে ফেলে শরণার্থী শিবিরে আসতে চায় নি। তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে কষ্ট করে বাড়িতেই আছে। তারপর তহশিলদার জানান, শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের চিকিৎসা সহ খাবারের সমস্ত বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন, যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বাড়িতে আছে তাদের এখন পর্যন্ত কোন সহযোগিতা করা হয়নি। বিশেষ করে লক্ষ্য করা গেছে সরকারের পক্ষ থেকে যে সমস্ত পরিকাঠামো গ্রহহন করার কথা ছিল সেগুলি কিছুই করা হয় নি।

পরবর্তী সময় এলাকার বিধায়ক তথা প্রতিমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মার সাথে দেখা হওয়ার পর এ বিষয়ে অবগত করা হয়। প্রতিমন্ত্রী জানান প্রশাসনকে আমরাও বলছি আপনারাও বলুন। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, যারা এখনো বাড়িতে আছে তাদের সাথে প্রশাসনিক কর্মীরা গিয়ে সাক্ষাৎ পর্যন্ত করেননি। পরবর্তী সময়ে সিপিআইএমের প্রতিনিধি দল শরণার্থী শিবিরের যান। অসহায় মানুষের সাথে কথা হয়। তারপর বোঝা যায় কাঁঠালিয়া ছড়ার ক্ষতিগ্রস্ত ১১৫ পরিবারকে শরণার্থী শিবিরের পর্যন্ত থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। তারপর এই বিষয় নিয়ে আবার প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হয়। এরপর প্রধান শিক্ষক শরণার্থীদের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে মোহনপুর মহকুমা শাসক অফিসে এসে সিপিআইএমের প্রতিনিধি দল একটি দাবি সনদ পেশ করেন। মহকুমা শাসকের কাছে জানানো হয় আপনাদের কাছ থেকে যা করার কথা সেটা করছেন না। তিন দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই, তীব্র গরমে মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা।

এবং সবচেয়ে বড় বিষয় হলো পানীয় জল নেই। বাড়ির ঘরেও তারা যান নি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো মহকুমা শাসকের কাছ থেকে কোন ধরনের আশ্বাস পাওয়া যায়নি। তারপর পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা শাসক অফিসে এসে জেলা শাসক ডঃ বিশাল কুমারের কাছে গোটা পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। জেলা শাসককে বলা হয়েছে মহকুমা শাসকের সাথে কথা বলে সন্তোষজনক উত্তর পাওয়া যায়নি। তাই আপনার দৃষ্টিতে আনার জন্য আপনার কাছে আসতে হয়েছে। জেলাশাসক বলেন, সেখানে আজকের মধ্যেই যাবেন এবং খাবার, বিদ্যুৎ, পানীয় জল সহ সমস্ত বন্দোবস্ত করার বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে আশ্বস্ত বলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানান সিপিআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস। আয়োজিত এই দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম মোহনপুর মহকুমা কমিটির নেতা প্রণব দেববর্মা, মোহনপুর মহাকুমা সম্পাদক সুদীপ দেবনাথ, সিপিআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস, নারী নেত্রী কৃষ্ণা রক্ষিত।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!