স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২ মে : গর্বের জাতীয় সড়কের অধঃপতন। দীর্ঘ এক মাস ধরে বেহাল অবস্থা খোয়াই-কমলপুর ২০৮ জাতীয় সড়কের। প্রতিদিন সমস্যার স্বীকার হচ্ছে যান চালকরা। খবর প্রকাশ হওয়ার পরেও কুম্ভ নিদ্রা ভাঙছে না প্রশাসনের। গত এক মাস ধরে খোয়াই-কমলপুর ২০৮ জাতীয় সড়কের বেহালা দশা। রাস্তাটি ভেঙে চৌচির। ভগ্নদশায় ভোগান্তি পথ চলতি থেকে যানচালকদের। জাতীয় সড়ক নিম্নমানের কাজ হয়েছে। এক বছর যেতে না যেতেই বিভিন্ন জায়গায় পীচ ফুলে ফুলে উঠে যাচ্ছে। স্থানে স্থানে বড় বড় খাদ তৈরি হয়েছে। জাতীয় সড়কের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, জাতীয় সড়ক আর জাতীয় সড়ক নেই। এ যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। নির্মাণকাজের শুরুতেই আপত্তি উঠেছিল। বিভিন্ন মহল থেকেই অভিযোগ উঠেছিল নিম্নমানের কাজের।অভিযোগ উঠেছিল যে, নির্মাণকাজে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যাবহার করা হচ্ছে। খোয়াইয়ে প্রায় সব জায়গাতেই ২০৮বি জাতীয় সড়কে নিম্নমানের নির্মাণ কাজ হয়েছে।নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যাবহার করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন মানুষের এসব কথায় কোন আমলই দেয়নি।
ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। খোয়াইয়ের বিভিন্ন এলাকায় স্থানে স্থানে বসে যাচ্ছে জাতীয় সড়ক। আবার অনেক স্থানে সড়কের নীচে ইট, পীচ ফুলে ফুলে উঠে যাচ্ছে। অনেক স্থানেই সড়ক নীচের দিকে অনেকটা চলে গিয়ে বসে যাচ্ছে বা ধ্বসে যাচ্ছে। খোয়াইয়ের মহাদেবটিলা থেকে শুরু করে জাম্বুরা, সিঙ্গিছড়া, চেরমা, বাচাইবাড়ী বাজারের আশেপাশে জাতীয় সড়কের এরকম ধ্বসে যাওয়া বা ফুলে ফেঁপে পীচ উঠে গিয়ে বড় বড় খাদ তৈরি হয়েছে। গাড়ি চলা দায় হয়ে ওঠে। গাড়ির চালকরা জানিয়ে, এই জাতীয় সড়কে গাড়ি চালানোর বিপদ জনক। লোড গাড়ি নিয়ে আসা বিপদ আশঙ্কা। ছোট গাড়ি চালকরা জানিয়েছে, কিসের জাতীয় সড়ক! এটা কি জাতীয় সড়ক হলো! আগেই ভালো ছিল। এই জাতীয় সড়ক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে গাড়ি চালানোই বিপদজনক। গাড়ি নিয়ে বের হলেই গাড়ির ক্ষতি হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো যে, জাতীয় সড়ক নির্মাণের সময় কি তাহলে মাটির গুণমান ভালো করে যাচাই করা হয় নি?