স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২ মে :শুক্রবার এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা রামনগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বর কাঁঠাল উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ক্ষুদিরাম বসু ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়, সুকান্ত অ্যাকাডেমি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন। এদিন দুপুরে রামনগর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হয় এই অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী বোতাম টিপে ভার্চুয়াল ভাবে বিদ্যালয় গুলির নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধন করেন। তারপর শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ভগবান সুযোগ দিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকৃত মানুষ করার। তারা যাতে এই সুযোগের সঠিকভাবে ব্যবহার করেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা হলো যেকোনো দেশ বা রাজ্যের অগ্রগতির প্রধান দিক। তাই শিক্ষাকে গুরুত্বহীনভাবে দেখার কোন সুযোগ নেই। সরকার সবচেয়ে আগে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষিকে গুরুত্ব দিয়ে চলেছে। এরমধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের যাতে গুণগত শিক্ষা প্রদান করা যায় সেটাই হলো সরকারের মূল উদ্দেশ্য। যার অন্যতম নিদর্শন হলো নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ রাজ্যে লাগু করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বললেন শুধু ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় করার ইচ্ছা নয় সরকারের, একই সঙ্গে ইংরেজিতে দক্ষ শিক্ষকদের সেসব ইংরেজির মাধ্যম বিদ্যালয়ে নিয়োগ করা সরকারের মূল লক্ষ্য। কারণ মাঝে মধ্যে অভিযোগ আসে ইংরেজি মাধ্যমে বিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলা ভাষায় পড়াশোনা চলছে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন শিক্ষা ক্ষেত্রে ত্রিপুরা দ্রুত এগিয়ে চলেছে। জাতীয় স্তরে বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত হচ্ছে ত্রিপুরা। আগামী দিন শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে চলেছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন পূর্বতন সরকার ক্যাডার বাজি এবং দলবাজি করে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিয়েছিল। তারপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকনিদর্শনে বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কাজ করে চলেছেন। যা সদ্য প্রকাশিত ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে বোঝা যায়। মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী আরো দাবি করেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে বর্তমানে এগিয়ে চলেছে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা। এই দিনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক দীপক মজুমদার, প্রতিমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা সহ শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা।