Sunday, February 16, 2025
বাড়িরাজ্যখাদ্য এবং পেট্রোপণ্য নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করার জন্য আহব্বান প্রশাসনের

খাদ্য এবং পেট্রোপণ্য নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না করার জন্য আহব্বান প্রশাসনের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ মে : সম্প্রতি আসামে ডিমাহাসাও সহ উত্তর কাছার অঞ্চলে প্রবল বর্ষণের জন্য দেশের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে রেল ও সড়ক পথে রাজ্যের যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। রাজ্যের যোগাযোগের অন্যতম প্রধান লাইফ লাইন তথা জাতীয় সড়কে কয়েকটি স্থানে ভূমিধসের ঘটনা ঘটলেও ইতিমধ্যে তা সরিয়ে পণ্যবাহী যান সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

যদি পুনরায় ভারী বর্ষণ আর না হয় তাহলে দু-একদিনের মধ্যেই রাজ্যের সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হবে। বুধবার মহাকরণের সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক এল এইচ ডারলং। বর্তমানে পেট্রোলিয়াম পণ্যের সিংহভাগ রেলপথের মাধ্যমে আমদানি করা হয় বলে উদ্ভূত পরিস্থিতি জনিত কারণে রাজ্যে পেট্রোল সরবরাহ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। আট দিনের পেট্রোল রাজ্যে মজুত রয়েছে। ডিজেল রয়েছে আগামী পাঁচ দিনের। তবে রাজ্যে রান্নার গ্যাস এবং ডিজেলের কোনো সংকট নেই বলে জানান। রাজ্যের বর্তমানে পেট্রোল এবং ডিজেলের দৈনিক চাহিদা যথাক্রমে ২২০ কিলোলিটার এবং ৩৫০ কিলোলিটার।

 রাজ্যের বিভিন্ন এজেন্সি এবং আই ও সি এল -এর ধর্মনগর ডিপু মিলিয়ে আজ সকালে রাজ্যে ১,৬৩৮ কিলোলিটার পেট্রোল এবং ২,১৮৪ কিলো লিটার ডিজেল মজুত ছিল। আই ও সি এল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে তাদের মৈনারবান্দা ডিপু থেকে ২০০ কিলো লিটার পেট্রোল এবং প্রয়োজনীয় ডিজেল সাপ্লাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি গোহাটি থেকে যাচ্ছে পেট্রোল আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে রাজ্যের বাজারগুলিতে বর্তমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত স্বাভাবিক রয়েছে। এবং জাতীয় সড়ক খুলেই গেলে রাজ্যের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কোন সংকট দেখা দেবে না। রাজ্যে গণবণ্টন ব্যবস্থার আওতায় বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে চাউল, গম, চিনি, মসুর ডাল, লবণ মজুত রয়েছে। রাজ্যে চাল মজুত রয়েছে ৪২ দিনের ৪৯,৪৭৪ মেট্রিক টন, গম ৩৮ দিনের ৪,০৪৫ মেট্রিক টন, চিনি ২৮ দিনের ৮৯৩ মেট্রিক টন, মসুর ডাল ৪১ দিনের ১,২৮২ মেট্রিক টন, লবণ ৩৩ দিনের ২,০২৯ মেট্রিক টন, কেরোসিন তেল ১০ দিনের ৬০৫ কিলোলিটার মজুত আছে। তিনি আরো জানান রাজ্যে পেট্রোপণ্য এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের যোগান স্বাভাবিক রাখার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আই ও সি এল, এসিআই এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাই কেউ যেন বিভ্রান্ত না ছড়ায় এবং আতঙ্কিত না হয় তার জন্য আহ্বান জানান তিনি। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়া উপস্থিত ছিলেন খাদ্য দপ্তরে সচিব এস চৌধুরী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য