Monday, May 12, 2025
বাড়িরাজ্যপনের জন্য স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা গৃহবধুর

পনের জন্য স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা গৃহবধুর

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৬ এপ্রিল : পনের জন্য নির্যাতনের শিকার ইন্ডিয়ান আর্মির স্ত্রী। শেষ পর্যন্ত তরুণী গৃহবধূ রেলের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন বলে অভিযোগ। ঘটনা চুরাইবাড়ি থানাধীন গোবিন্দপুর এলাকার ছয় নং ওয়ার্ড এলাকায়। ২০২৩ সালে সামাজিক রীতি অনুযায়ী মনিকা শুক্লবৈদ্যের বিয়ে হয়েছিল কৈলাসহরের ভাগ্যপুর গ্ৰামের শঙ্কু শুক্লবৈদ্যের সঙ্গে বিবাহ হয়। বিয়ের যথারীতি তিন মাস পর থেকেই শ্বশুর শশধর, শ্বাশুড়ী মুক্তা শুক্লাবৈদ্যের সহযোগিতায় স্বামী শঙ্কু শুক্লবৈদ্য গৃহবধূ মনিকার উপর চরম অত্যাচার শুরু করে পনের জন্য। গৃহবধূকে বলা হয় বাপের বাড়ি থেকে দুই লক্ষ টাকা এনে দেওয়ার জন্য।

অথচ গৃহবধূর স্বামী ভারতীয় আর্মিতে চাকুরিরত। তারপর গৃহবধূ অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তখন সে শ্বশুর বাড়ির জ্বালা সহ্য করতে না পেরে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বাপের বাড়িতে চলে আসে। সেখানে তাদের একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। এরই মধ্যে দু’পক্ষের মাতব্বরদের মধ্যস্থতায় একাধিকবার শালিশি সভার মাধ্যমে গৃহবধূকে ফের স্বামীর বাড়িতে নেওয়া হয়। তখন দেখা যায় শুধু পনের জ্বালাতন নয়, ভারতীয় আর্মিতে চাকুরীরত এই জোয়ান একাধিক মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন সময় অনেক অশ্লীল ছবিও তার মোবাইলে দেখতে পেয়ে তার স্ত্রী মনিকা বারবার প্রতিবাদ করলে সে তার স্ত্রীকে প্রচন্ড মারধর করত বলেও অভিযোগ গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজনদের। এতে সে পুনরায় বাপের বাড়িতে চলে আসে। এর মধ্যে শঙ্কু ফের তার কর্তব্যে বহিঃরাজ্যে চলে যায়।

দীর্ঘ মাস পর গত ১৮ এপ্রিল শঙ্কু তার গোবিন্দপুর স্থিত শ্বশুর বাড়িতে আসে। সেখানে এসে গৃহবধূ মনিকাকে চরম মারধর করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করে রাখে গৃহবধূ মনিকা। এরপর থেকেই মনিকা চরম অপমানিত হয়ে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চরম সিদ্ধান্ত নেয়। শুক্রবার রাতে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। চলতি ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। শনিবার রেল পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে মৃত গৃহবধুর দুই বছরের একটি ফুটফুটে সন্তান রয়েছে। গৃহবধূর মা মিরা শুক্লাবৈদ্য সমস্ত ঘটনা জানিয়ে চুরাইবাড়ি থানায় লিখিত মামলা দায়ের করেন। এবং অভিযুক্ত মেয়ের জামাতার কঠোর শাস্তি দাবী করেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য