স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৩ এপ্রিল :ভূস্বর্গের পেহেলগাওয়ে জঙ্গি হামলায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩০ জনের মতো। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জম্বু ও কাশ্মীরে যেভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, তা দেখে জঙ্গিরা পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ সংঘটিত করেছে। বিশেষ করে বর্তমান সরকার ৩৭০ ধারা বিলোপ করার পর সেখানে যেভাবে পর্যটকরা ভিড় জমিয়ে ছিল তা দেখে জঙ্গিদের হজম হচ্ছিল না। তাই তারা জম্বু কাশ্মীরের শান্তির পরিবেশ নষ্ট করার জন্য এভাবে আক্রমণ সংঘটিত করেছে। জঙ্গিদের এ ধরনের আক্রমণের তীব্র ভাষায় নিন্দা জানানো হচ্ছে। মৃত পর্যটকদের পরিবারের প্রতি ত্রিপুরাবাসীর পক্ষ থেকে সমবেদনা থাকবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাউকে ছাড়বেন না।
কিছুদিনের মধ্যে এই জঙ্গিদের অবস্থা কি হবে সেটা মানুষ দেখবে। এমনটাই কড়া ভাষায় নিন্দা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিকে রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি তাদের পরিবার পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তিনি আশা ব্যক্ত করেন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্ত্রাসবাদীরা কঠোর শাস্তি পাবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই কাশ্মীরে পৌঁছে গেছেন। বিদেশ সফরসূচি বাতিল করে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে এসেছেন। তিনি বলেন এই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। তিনি এই ঘটনাটিকে কলঙ্ক জনক বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। অপরদিকে পলিটব্যুরোর সদস্য তথা সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সারা দেশ গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়াই করতে হবে বলে মনে করেন তিনি। এই সময়তে কাশ্মীরের জনগণের প্রতি তিনি সংহতি জ্ঞাপন করেন। ভারত সরকার এবং জম্মু-কাশ্মীর সরকার খুব শক্ত হাতে যাতে এই ঘটনার মোকাবেলা করতে পারে এবং যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি দিতে পারে এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটতে পারে এর জন্য কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকারের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন কয়েকজন সন্ত্রাসীকে দমন করলেই সন্ত্রাসবাদ নির্মূল হবে না। সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে হলে কাশ্মীরের সমস্যার সমাধান করতে হবে। এর জন্য রাজনৈতিকভাবে ও পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন। সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করার জন্য কাশ্মীরের সমস্যা স্থায়ীভাবে সমাধান করতে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আবেদন জানান।