স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৩ এপ্রিল :বুধবার পুর নিগমের কনফারেন্স হলে ২০২৫ ২৬ সালের ৭২.০২ লক্ষ টাকা ঘটতি বাজেট পেশ করেন মেয়র দীপক মজুমদার। বাজেটে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের সর্বমোট রাজস্ব এবং মূলধনী আয় ধরা হয়েছে ৪৭৫.৮৩ কোটি (চারশ পচাত্তর কোটি তিরাশি লক্ষ) টাকা এবং অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৬.৫৫ কোটি (চারশ ছিয়াত্তর কোটি পঞ্চান্ন লক্ষ) টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে ৭২.০২ লক্ষ (বাহাত্তর লক্ষ দুই হাজার) টাকা।
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের জন্য সর্বমোট রাজস্ব ও মূলধনী আয় ধরা হয়েছিল ৪১৫.৯৭ কোটি (চারশ পনের কোটি সাতানব্বই লক্ষ) টাকা এবং উক্ত বছরের অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৪১৬৭৪ কোটি (চারশ ষোল কোটি চুয়াত্তর লক্ষ) টাকা। ঘাটতি ছিল ৭৬.৭৫ লক্ষ (ছিয়াত্তর লক্ষ পচাত্তর হাজার) টাকা।
গত বৎসরের তুলনায় আগামী অর্থ বছরে প্রস্তাবিত আয় ৫৯৮৬ কোটি ৫৯ কোটি ছিয়াশি লক্ষ) টাকা এবং ব্যয় ৫৯৮১ কোটি (ঊনষাট কোটি একাশি লক্ষ) টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আগামী অর্থবছরের নতুন নতুন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়ার কারনে বাজেটে ব্যয় বৃদ্ধি হয়েছে। এতে করে বাজেট ঘাটতি ৭২.০২লক্ষ (বাহাত্তর লক্ষ দুই হাজার) টাকা অনুমিত হয়েছে যা আগরতলা পুর নিগম তার নিজস্ব আয়ের উৎস ও সরকারী অনুদান প্রাপ্তির মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
এই পরিমাণ বাজেট পেশ করা সম্ভব হয়েছে আগরতলা পুর নিগমের রাজস্ব এবং অ-রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং ১৫ তম অর্থ কমিশনের অধীনে রাজ্য সরকারের অনুদান এবং রাজ্য সরকারের শেয়ার অফ ট্যাক্সেস, টি ইউ এল এম, এস বি এম,পি এম এ ওয়াই আরবান, স্পেশাল ফান্ড, স্মার্ট সিটি মিশন, এমওয়াইএস, এন্ড ইউ এল এম ইত্যাদি থেকে প্রাপ্ত তহবিলের মাধ্যমে। বাজেটের ব্যয়ের মধ্যে কর্মচারি ও শ্রমিকদের বেতন এবং মজুরি, জ্বালানি, প্রাতিষ্ঠানিক এবং পুর নিগম এর পরিষেবা প্রদানের অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ অর্ন্তভুক্ত রয়েছে নাগরিকদের পরিষেবার লক্ষ্যে। এছাড়াও পুর এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নে বেশ কতগুলো নতুন প্রকল্পে মূলধনী ব্যায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে।
বিগত অর্থ বছরগুলির আগরতলা পুর নিগমের কার্যকারিতায় ভালভাবে লক্ষ্য করা যেতে পারে যে, আগরতলা শহর ও তার সন্নিহিত এলাকাকে সুন্দর করার জন্য অনেক জলাশয় তৈরি করা হয়েছে, নতুন রাস্তা, কালভার্ট, ড্রেইন, পাবলিক টয়লেট, পার্ক এবং শ্মশান নির্মানের পাশাপাশি মিউনিসিপাল মার্কেটের মতো কিছু পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপপূর্ণ স্থানে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে জনজীবনের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে।