স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৩ এপ্রিল :ব্রাউন সুগার ক্রয় করা ঘিরে হুলুস্থুল কান্ড। পুলিশের সামনেই জনতার গণধোলাই ব্রাউন সুগার বিক্রেতা এবং ক্রেতাকে। শেষ পর্যন্ত মেজাজ হারালেন পুলিশ কর্মী। তর্ক-বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন জনতার সাথে পুলিশ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালের বিপরীত পাশে টিফিনের দোকানে প্রতিনিয়ত ব্রাউন সুগারের কন্টেনার বিক্রি করে চলেছেন দোকান মালিক টুটন সাহা।
বাবার নাম গোপাল সাহা। বাড়ি অফিসটিলা এলাকায়। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে সোনামুড়া থেকে আক্তার হোসেন নামে এক যুবক টিফিনের দোকান থেকে ৪০০ টাকার বিনিময়ে চারটি ব্রাউন সুগারের কন্টেইনার ক্রয় করেন। তখনই এলাকার যুবকদের নজরে আসে বিষয়টি। সাথে সাথে সেই নেশাখোর যুবক আক্তার হোসেন ধরে উওম মাধ্যম দেওয়ার পর সে স্বীকার করে টিফিনের দোকানের মালিক কাছ থেকে ব্রাউন সুগার কন্টেইনার ক্রয় করেছেন। তারপর অভিযুক্ত ব্রাউন সুগার বিক্রেতা এবং নেশাখোর যুবককে উত্তম মাধ্যম দেয় স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।
পুলিশ এসে তাদের জনরোষ থেকে রক্ষা করতে গেলে পুলিশের সাথে ঝামেলা বাদে স্থানীয়দের। পরে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে যায় দুজনকে। বিগত কয়েক বছর যাবত ব্রাউন সুগার কন্টেইনার বিক্রির দিক দিয়ে সিপাহীজলায় নাম উজ্জ্বল করেছে অফিসটিলা হসপিটাল সংলগ্ন এলাকার একাংশ যুবক। সিপাহীজলা জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসছে নেশাখোর উক্ত এলাকায়। ব্রাউন সুগার বিক্রির অভিযোগে একাধিক নেশা বিক্রেতা জেলে থাকলেও আদৌ এখনো পর্যন্ত সেই এলাকায় ব্রাউন সুগার বিক্রির বাণিজ্য মূলত বন্ধ হয়নি।পুলিশ আসামাত্রই স্থানীয়রা খুব জানান পুলিশের এই তালবাহানায় একাংশ যুবক নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। পুলিশ সমস্ত কিছু যেন তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করছেন না। এমনটাই দাবি স্থানীয় যুবকদের।