স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২০ এপ্রিল : তিন তালাক এবং ওয়াকফ বহু মুসলিম দেশে নেই। অথচ যত আবর্জনা আছে তা ভারতবর্ষে এনে ঢুকিয়ে দিয়েছে। এগুলি এখন বিলোপ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে স্বচ্ছ ভাবে উপস্থাপিত করার লক্ষ্য নিয়ে এ সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। রবিবার দুপুরে আগরতলা স্থিত সুকান্ত একাডেমিতে এক দেশ এক ভোটের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। মুখ্যমন্ত্রী প্রদীপ প্রজ্বলন করে আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন। আলোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বক্তব্য রেখে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যা বলেন সেটা তিনি করে দেখান।
তিনি তিন তালাকের কথা বলেছিলেন। সেই তিন তালাক রদ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আগের কোন সরকার এই তিন তালাক রদ করে দেখানোর সাহস পাননি। স্বাধীনতার এত বছর অটল বিহারী বাজপেয়ী ছাড়া এমন নেতৃত্ব পাওয়া যায়নি। অপরদিকে ওয়াকফ নিয়ে দেশে এতসব ঘটনা হওয়ার পরেও কারোরই কোন ধ্যান ধারণা ছিল না। ২০০৫ সালে সরকার তাদের অধিক অধিকার দিয়েছিল। তারা চাইলে যেকোনো জমি ওয়াকফ করে নিতে পারত। যার ফলে দেখা যাচ্ছে রেলওয়ে এবং আর্মির পর ওয়ার্ক অফ বোর্ডের জমি সবচেয়ে বেশি। তাই ওয়াকফ আইন লাগু করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এই আইন নিয়ে বিরোধীরা মানুষের মধ্যে সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করছে।
পাশাপাশি যেমন ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে শান্তি ফিরিয়ে আনা হয়েছে জম্বু কাশ্মীরে। অন্যদিকে তিনটি নতুন আইন কার্যকর করে পুরনো আইনকে পরিবর্তন করেছে। ফলে দেশের আইন-শৃঙ্খলা আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। একই সাথে মানুষ যাতে কোন সমস্যার শিকার হওয়ার পর দুর্ভোগ পোহাতে না হয়। মানুষ যে কোন থানা থেকে মামলা করতে পারে। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার এক দেশ এক ভোট কার্যকর করতে চাইছে। এবং এক দেশ এক ভোট কার্যকর হলে দেশবাসীর জন্য ভালো হবে। সরকার উন্নয়নমূলক কাজ করার সুযোগ পাবে এবং ব্যয় কম হবে। আর এগুলি নিয়ে বিরোধীরা ব্যবসা করছেন। তাই এক দেশ এক ভোট কার্যকর না হলে তাদের জন্য সুবিধা হবে। এমনটাই দাবি করে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুললেন এদিনের আলোচনা সভায়। আয়োজিত আলোচনা সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, ত্রিপুরা বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী রায়, প্রদেশ বিজেপি -র নেতৃত্ব সুবল ভৌমিক সহ অন্যান্যরা।