আগরতলা। ১৯ এপ্রিল : দেশ-বিদেশ থেকে আমাদের রাজ্যে আগত পর্যটকরা যাতে স্বল্প সময়ে নারিকেল কুঞ্জ – ছবিমুড়া সহ অন্যান্য বিশালাকার জলজ পর্যটন কেন্দ্রের কাছে অতি সহজে পৌঁছাতে পারেন তার জন্য রাজ্যে সামুদ্রিক বিমান পর্যটনের পরিষেবা চালু করতে রাজ্যের পরিবহন ও পর্যটন দপ্তর যৌথভাবে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সামুদ্রিক বিমান পর্যটন বর্তমান সময়ে একটি আকর্ষণীয় এবং নতুন পর্যটন পদ্ধতি।
যা রাজ্যের বিভিন্ন বিশালাকার জলজ অঞ্চলের পর্যটনের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে। এটি একদিকে যেমন পর্যটকদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবে, তেমনি স্থানীয় অর্থনীতিকেও উন্নত করতে সাহায্য করবে। এরই অঙ্গ হিসেবে শনিবার সচিবালয়ের কনফারেন্স হলঘরে ত্রিপুরায় “সি-প্লেন” পরিচালনার জন্য একটি বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থার সাথে এই পরিষেবা ত্রিপুরা রাজ্যে চালু করার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন খুব কম সময়ে এটি চলাচল করতে পারে। এবং এই সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে শনিবার উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধার্থ ভর্মা। সিদ্ধার্থ ভর্মা জানিয়েছেন অত্যন্ত উৎসাহী ত্রিপুরা রাজ্যে এ ধরনের পরিষেবা চালু করার জন্য। এর আগে তারা আন্দামান, মহারাষ্ট্র সহ বিভিন্ন রাজ্যে এ ধরনের পরিষেবা চালু করেছে। ত্রিপুরা থেকে নারিকেল কুঞ্জ এবং নীলমহলে এই সুযোগ চালু করার জন্য সরকার ইচ্ছা প্রকাশ করছে। তবে ডম্বর জলাশয় একটি বিমানের জন্য উপযোগী। কারণ ডম্বর জলাশয়ের আয়তন যেমন বেশি তেমন সারা বছর জলের পরিমাণও বেশি থাকে। বিশেষ করে এই বিমান লেন্ডিং এর জন্য এক কিলোমিটার থাকতে হয়। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামী এক মাসের মধ্যে তারা টেকনিক্যাল টিম নিয়ে রাজ্যে আসতে পারে পরিদর্শন করতে। তবে এই পরিষেবা চালু করা নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মন্ত্রী।