স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৪ এপ্রিল : যথাযোগ্য মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গেই সোমবার বাবা সাহেব ডক্টর ভীমরাও আম্বেদকরের জন্ম জয়ন্তী উদযাপন করা হয় বিজেপির প্রদেশ কার্যালয়ের সামনে। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা, বিজেপির রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী মিমি মজুমদার সহ দলীয় অন্যান্য নেতৃত্ব এবং কার্যকর্তারা। মোমবাতি প্রজ্বলন করে এই অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাজ্য সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য। বাবা সাহেব ডক্টর বিআর আম্বেদকর কর্মজীবন সহ বিভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন উপস্থিত বক্তারা। এদিকে সংবিধান প্রণেতা ভারতরত্ন ডঃ বি আর আম্বেদকরের ১৩৫ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয় সোমবার সকালে আগরতলার কংগ্রেস ভবনে।
বি. আর আম্বেদকরের প্রতিকৃতিতে পুষ্প অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন নেতৃত্ব সহ দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা। উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা সহ আরো অনেকেই। শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে আশীষ কুমার সাহা জানিয়েছেন, বাবাসাহেব ডক্টর ভীমরাও আম্বেদকর শুধুমাত্র একজন সংবিধান প্রণেতাই ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন অর্থনীতিবিদ। একজন সমাজ সংস্কারক। তিনি তার পাণ্ডিতের জন্য আজও সারা বিশ্বে গর্বিত। তিনি জাত বর্ণ এবং সাম্প্রদায়িক শ্রেণীর লড়াইয়ে অন্যতম পুরোধা হিসেবে তিনি বিশ্বের মানুষের কাছে আজও পরিচিত। তিনি জানিয়েছেন সংবিধানকে অক্ষত রাখার জন্য এবং বাবা সাহেবকে চির স্মরণীয় করে রাখার জন্য কংগ্রেস সব সময় লড়াই চালিয়ে যাবে। সংবিধানকে কোনো অবস্থাতেই ক্ষতবিক্ষত হতে দেওয়া হবে না। অপরদিকে বাবা সাহেব ডঃ বি আর আম্বেদকরের ১৩৫ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সোমবার সকালে রাজধানী আগরতলার সিটি সেন্টারের সামনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ত্রিপুরা রাজ্য সমন্বয় সমিতি। বাবা সাহেবের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সকলেই। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রতন ভৌমিক, কৃষ্ণা রক্ষিত, রাজ্য কমিটির সদস্য অমল চক্রবর্তী সহ আরো অনেকেই। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রতন ভৌমিক জানিয়েছেন, বাবা সাহেব ডঃ বি আর আম্বেদকর জাত বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য সংবিধান রচনা করে একটা সুন্দর দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু বর্তমান সমাজে সংবিধানকে পাল্টে দেওয়ার জন্য একটা শক্তি প্রতি নিয়ত কাজ করছে। বিশেষ করে আরএসএস এর আদর্শে অনুপ্রাণিত বিজেপি সরকার এবং দল দেশকে সর্বনাশ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। সেই কারণেই তারা চাইছে না দেশের সংবিধান থাকুক।