স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৪ এপ্রিল : উদয়পুরের হোলাক্ষেত স্কুল পাড়া এলাকায় বাপের বাড়িতে বসবাস করতেন শিবানী দাস। শিবানী দাসের বয়স আনুমানিক ৪৭ বছর। শনিবার সাত সকালে বাপের বাড়ির পাশের ক্ষেতে শিবানী দাসের রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। সাথে সাথে খবর দেওয়া হয় আর.কে পুর থানার পুলিশ সহ মৃত শিবানী দাসের আত্বিয় পরিজনদের। ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ সহ মৃত শিবানী দাসের আত্বিয় পরিজনরা। ঘটনার দিন গোমতী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৌভিক দে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ কুকুর ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে।
তবে পুলিশ কুকুর তেমন কোন কিছু পায় নি। মৃতদেহের পাশে মৃতার মোবাইল পাওয়া যায়। মৃতার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আর.কে পুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে রবিবার রাতে মৃত শিবানী দাসের বড় ভাই সঞ্জিত দাসকে গ্রেপ্তার করে। আর.কে পুর থানার এক পুলিশ অফিসার জানান শিবানী দাস হত্যা কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মৃতার বড় ভাই সঞ্জিত দাসকে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে পারিবারিক ঝামেলাকে কেন্দ্র করে হত্যা করা হয়েছে শিবানী দাসকে। ধৃত সঞ্জিত দাস সংবাদ মাধ্যমের সামনে স্বীকার করে সে ছোট বোন শিবানী দাসকে হত্যা করেছে। ঘটনার সময় সে মদমত্ত অবস্থায় ছিল। দা দিয়ে কুপিয়ে সে শিবানী দাসকে হত্যা করেছে। তার সাথে দুলু মারাক নামে আরও একজন ছিল বলে জানায় সঞ্জিত দাস। ধৃত সঞ্জিত দাসের বক্তব্য অনুযায়ী সে ছোট বোন শিবানী দাসকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তবে তার সাথে আরও একজন ছিল। পুলিশ সঞ্জিত দাসকে গ্রেপ্তার করলেও অপর অভিযুক্ত বর্তমানে পলাতক। এখন দেখার পুলিশ অপর অভিযুক্তকে জালে তুলতে পারে কিনা।