স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১৪ এপ্রিল : তপশিলি কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে ডঃ বি আর আম্বেদকরের ১৩৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয় সোমবার। এদিন আগরতলা উজ্জয়ন্ত প্রাসাদে আম্বেদকরের অবয় মূর্তিতে ফুল দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা, তপশিলি দপ্তরের মন্ত্রী সুধাংশু দাস, আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, বিধায়িকা মিনারানী সরকার সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা বক্তব্য রেখে বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা স্থাপনের পথিকৃৎ, সংবিধান প্রণেতা ‘ভারতরত্ন’ শ্রদ্ধেয় ডঃ ভীমরাও রামজি আম্বেদকর জীর ১৩৫ তম জন্মজয়ন্তী। মহান এই রাজনেতা ও সমাজ সংস্কারকের জীবনের আদর্শ তথা তাঁর রচিত সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুধাংশু দাস বলেন, ডঃ বি আর আম্বেদকর কেন নেহেরুর ক্যাবিনেট থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন, কেন কংগ্রেস দল ছেড়ে নতুন দল তৈরি করেছিলেন এবং কেন তাঁকে স্বাধীনতার ৪০ বছর পর্যন্ত ভারতরত্ন দেওয়ার সাহস করতে পারে নি – সেই বিষয়গুলো সকলের জানতে হবে।
কিন্তু দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহরলাল নেহেরু, প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধী তারা দেশে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে ভারতরত্ন পেয়েছিলেন। কিন্তু বাবা সাহেব আম্বেদকরকে ১৯৯০ সালে এ ডি এ সরকারের সময় ভারতরত্ন পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন বাবাসাহেব আম্বেদকরকে ১৯৫২ সালে সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত করার জন্য কংগ্রেস প্রার্থী দিয়ে পরাজিত করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৭৫ সালে এই কংগ্রেস সরকার ভারতের সংবিধান পদদলিত করে ডঃ বি আর আম্বেদকরকে অসম্মানিত করতে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে নিজেদের ভোট ব্যাংক মজবুত রাখতে বিরোধী দল কংগ্রেস ওয়াকফ আইনের বিরোধিতা করছে এবং সংবিধান পদদলিত হচ্ছে বলে মিথ্যা প্রচার করছে বলে সমালোচনা করেন তিনি।