স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১১ এপ্রিল : ১৪ মাসের শিশুকে রেফার দেরিতে করার জন্য শিশু মৃত্যুর অভিযোগ পরিবারের। অভিযোগ উঠলো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি অস্বীকার করেন মেডিকেল সুপার। তিনি জানান সব ধরনের পরিষেবাই দিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ৬ই এপ্রিল পহরমুড়া এলাকার বাসিন্দা সুকান্ত দাসের ১৪ মাসের ফুটফুটে শিশু সন্তান সামান্য জ্বর আসায় তাকে নিয়ে আসা হয় খোয়াইয়ে জেলা হাসপাতালে।
সেখানে তাকে দেখানো হয় ডাক্তার রাজেষ দেববর্মাকে। সেখানে ডাক্তার রাজেশ দেববর্মা শিশু সন্তানকে দেখে কিছু ঔষুধ লিখে দেয়। সন্ধ্যায় আবার শিশুটিকে নিয়ে আসা হয় খোয়াই জেলা হাসপাতালে। সেখানে ডাক্তারবাবু নাকি বলেন তাকে ভর্তি করানোর জন্য। স্বাভাবিকভাবেই ১৪ মাসের শিশু সন্তানের এইরকম অবস্থা দেখে মা-বাবা মারাত্মক চিন্তিত হয়ে ওঠে। চৌদ্দ মাসের শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তারের দিকে আঙ্গুল তুললেন শিশু সন্তানের মা ও বাবা।
তারা আরো জানান তারা বলেছিল রোগীকে রেফার করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক রেফার করেননি রোগীকে। যদিও ঘটনাটি এরকম নয় বলে ডাক্তার রাজেশ দেববর্মা জানান, শিশুটির খিচুনির সমস্যা ছিল। পরবর্তীতে ঔষধ দেওয়ার পর খিচুনির সমস্যা সেরে যায়। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে সাধ্যমত তার খোঁজখবর রেখে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এদিকে ডাক্তারবাবু জানান চিকিৎসায় কোন ধরনের খামতির প্রশ্নই নেই। তাকে রেফার করে দেওয়ার পর নাকি তার বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে বলে ডাক্তার বাবু জানান। এদিকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে মেডিকেল সুপার সরদিন্দু রিয়াং জানান, ঘটনাটি জেনে বিষয়টি খতিয়ে দেখে জানতে পারি ডাক্তার রাজেশ দেববর্মা শিশু বিশেষজ্ঞ হিসেবে যা যা করার সবটাই করেছেন। ডাক্তারবাবুরা সব সময় চায় ভালো পরিষেবা দিতে বলেও জানান তিনি। যাইহোক শিশু সন্তানকে হারিয়ে ভেঙ্গে পড়েছে পরিবারটি।