শুধুমাত্র সংকীর্ণ স্বার্থে মুসলিম তোষণের রাজনীতি করে এসেছে কংগ্রেস কমিউনিস্ট এবং সমাজবাদী পার্টি । প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীও তাদের প্রধানমন্ত্রীর কার্যকালে একাংশ স্বার্থান্বেষী মুসলিম নেতাদের তোষণ করতে গিয়ে সমগ্র মুসলিমদের কল্যাণকে প্রাধান্য দেয়নি l মুসলিম প্রীতির আড়ালে, এই কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টরা মুসলিমদেরই শত্রু রূপে কাজ করেছে । আজ সোনামুড়া মণ্ডলের অন্তর্গত এক সভায় ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ এবং ওয়াকঅফ বিলের উপর আলোচনা করতে গিয়ে এভাবে বিরোধীদের কটাক্ষ করেন সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব । এদিন সদর গ্রামীণ জেলার উদ্যোগে রানীর বাজার টাউন হলে, জেলার সমস্ত জন প্রতিনিধি ও পদাধিকারীদের সাথে এক দেশ এক নির্বাচন নিয়ে মত বিনিময় করেন l তার পর মান্দাই মন্ডলের ঠান্ডা কালি বাড়ি এলাকায় গাও চলো অভিযানে অংশগ্রহণ করেন l সন্ধ্যায় বনমালীপুর মন্ডলের অন্তর্গত সক্রিয় সদস্য কর্মসূচিতে যোগ দেন l
এদিন সোনামুড়ার কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, শুধুমাত্র সেনা থাকলেই হয় না, সঠিক দিশায় পরিচালনার জন্য যোগ্য নেতৃত্বের প্রয়োজন । এই প্রসঙ্গে বিরোধীরা সম্পূর্ণ দিশাহীন, কারণ তাদের রাজনৈতিক প্রকৃতিও দিশাহীন । ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ এর মতো যোগ্য দূরদর্শী নেতা আছে বলেই দল এবং সরকার সঠিক দিশায় মানুষের কল্যানে পরিচালিত হচ্ছে ।
কমিউনিস্ট ও কংগ্রেসকে নিশানা করে বিপ্লব কুমার দেব বলেন, গোটা দেশে একটা মুষ্টিমেয় সংখ্যায় মুসলিমদের তোষণ করতে গিয়ে সহজ সরল সাধারণ বড় সংখ্যায় মুসলিমদের বিভ্রান্ত করে এসেছে এই রাজনৈতিক দলগুলো । আর এই মুসলিম তোষণের পথে হাটতে গিয়েই ওয়াকফ সম্পত্তির সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিল । গোটা দেশে বড় মাত্রায় এই সম্পদ থাকলেও , অধিকাংশ সাধারণ মুসলিমরা এর সুফল পায়নি । একটি ক্ষুদ্র অংশ এই সম্পদ গুলোকে অতি স্বল্পমূল্যে ভাড়া দিয়ে , পরোক্ষে তাদের রাজনৈতিক ফান্ডে বড় অংকের মোটা অর্থ আদায় করত । এই সম্পদ থেকে কোথায় স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি হয়েছে, কি কি দৃষ্টান্ত আছে, প্রশ্নঃ তোলেন তিনি l তবে অধিকাংশ মুসলিম সাধারণ মানুষ যেন এর সুফল পেতে পারে তার জন্য যখন ওয়াকফ বিল আনা হল, সেই রাজনৈতিক কারবারীরা এখন তার বিরোধিতা করছে । কারণ জনগণের সার্বিক কল্যাণ এর চাইতেও রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি তাদের কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও অভিযোগ করেন , মানুষকে নানাভাবে বিভ্রান্ত এবং ব্যস্ত করে রেখে রাজনীতি করাই কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টদের মজ্জাগত । কিন্তু কদিন বাদে বাদে নির্বাচন হলে একদিকে যেমন সময় নষ্ট হয় তেমনি নষ্ট হয় রাষ্ট্রের সম্পদ অর্থ । একটি সরকার জনকল্যানে কাজ করার সুযোগ পায় কম, নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু থাকার ফলে । কিন্তু একই সঙ্গে লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন হলে অতিরিক্ত বেঁচে যাওয়া অর্থ সমাজের অন্তিম শ্রেণীর ব্যক্তিদের জন্য কাজে লাগানো সম্ভব । তিনি আরো বলেন , বিরোধীরা ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে মুসলিমদের খেপিয়ে তোলার রাজনীতি করে থাকে । কিন্তু মুসলিমদের স্বার্থে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছে একমাত্র নরেন্দ্র মোদি সরকারই। তিন তালাক থেকে শুরু করে একাধিক দৃষ্টান্ত রয়েছে এমন। বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এখনো পর্যন্ত মুসলিমদের স্বার্থ বিরোধী বা আবেগবিরোধী কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি । ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এক দেশ এক নির্বাচনের প্রক্রিয়া চালু থাকলেও শুধুমাত্র সংকীর্ণ স্বার্থ আদায়ের উদ্দেশ্যে নানাভাবে একেকটি নির্বাচনকে বিলম্বিত করে পৃথক পৃথকভাবে তা করার প্রক্রিয়া চালু করেছে । এদিনের কর্মসূচিতে বিশালগড় দক্ষিন জেলার জেলা সভাপতি, মাইনরিটি মোর্চার সভাপতি বিল্লাল মিয়া সহ জেলার অন্যান্য পদাধিকারীরাও উপস্থিত ছিলেন