স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৭ এপ্রিল : সারাদেশে বিদ্যুৎ বেসরকারি করনের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন -বিতরণ- বন্টন সমস্ত বিষয়গুলো বেসরকারি মালিকদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনই অভিযোগ ত্রিপুরা ইলেকট্রিসিটি কনজিউমারস এসোসিয়েশনের। যার কারণে সোমবার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল ২০২২ বাতিলের দাবিতে দেশব্যাপী প্রতিবাদ সপ্তাহ পালনের অঙ্গ হিসেবে বটতলা বাজারে এক বিক্ষোভ সভার আয়োজন করে। এই প্রতিবাদ সপ্তাহ শুরু হয়েছে ১লা এপ্রিল থেকে। ফিক্সড চার্জ -ডিউটি চার্জ -সার্ভিস চার্জ এর নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা লুট করার অভিযোগ তুলে তারা এবং এর প্রতিবাদ জানায়।
অ্যাসোসিয়েশনের কনভেনার সঞ্জয় চৌধুরী স্মার্ট মিটারের নামে টি ও ডি সিস্টেম বাতিলের দাবি জানান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বিদ্যুৎ ছিল জনসাধারণের অত্যাবশ্যক পরিষেবা। কিন্তু ২০০৩-ইং সালে বিদ্যুৎ আইনের পরিবর্তন করে বিদ্যুৎ পরিষেবাকে লাভের ক্ষেত্রে পরিণত করে বেসরকারীকরণের পথ উন্মোক্ত করে দেয়। বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহণ ও বন্টন এই তিন ভাগে ভাগ করে বেসরকারী কর্পোরেট পুঁজির হাতে তুলে দেবার জন্য বিদ্যুৎ আইন বিল ২০২২ তৈরি করা হয়। তারই পরিপূরক হিসাবে ডিজিটাল মিটার বাতিল করে জনস্বার্থ বিরোধী প্রিপেইড স্মার্ট মিটার বসানো শুরু করে।
বিদ্যুৎক্ষেত্রে এইরূপ জনস্বার্থ বিরোধী পদক্ষেপগুলিকে প্রতিরোধ করতে রাজ্যে রাজ্যে এবং কেন্দ্রীয়ভাবে গ্রাহক সংগঠন গড়ে উঠে। তারই ধারাবাহিকতায় ‘অল ইন্ডিয়া ইলেকট্রিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন’ বিদ্যুৎ বেসরকারীকরণ বন্ধ করা, স্মার্ট মিটার লাগানো বন্ধ করা, ফিক্সড চার্জ সার্ভিস চার্জ ডিউটি চার্জ নেওয়া বন্ধ করা এবং বিদ্যুৎ আইন বিল ২০২২ বাতিল করা ইত্যাদি দাবিতে ১ থেকে ৭ এপ্রিল ২০২৫-ইং দেশব্যাপী প্রতিবাদ সপ্তাহ পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তারই ধারাবহিকতায় আজ ‘ত্রিপুরা ইলেকট্রিসিটি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে আগরতলার বটতলায় এক বিক্ষোভ সভা অনুষ্ঠিত হয়।