স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ৩ এপ্রিল : খোয়াই গৌরাঙ্গটিলা শ্রী শ্রী জ্ঞান মন্দির বিদ্যালয়টি দীর্ঘ বছর পুরনো। এটি মূলত দ্য আর্ট অফ লিভিং দ্বারা পরিচালিত। কিন্তু কয়েকদিন আগে স্কুলের ৬ জন শিক্ষককে কোন ধরনের আগাম নোটিশ ছাড়া ছাটাই হয়েছে। দীর্ঘ পনেরো থেকে কুড়ি বছর যাবত এই বিদ্যালয়ে চাকরি করেছেন চাকরিচ্যুত শিক্ষকরা। তাদের শিক্ষকতার ডিগ্রি বিএড রয়েছে। কিন্তু তারপরেও তাদের ছাটাই করে দেওয়া হয়।
এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভে সামিল হয় অভিভাবক মহল। অভিভাবকরা দুপুর ১২ টা নাগাদ স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তারপর বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষিকারা তাদের আশ্বস্ত করেন যাদের সাথে করা হয়েছে তাদের শূন্য পদে নতুন করে শিক্ষক শিক্ষিকার নিয়োগ করা হবে। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি মানতে নারাজ অভিভাবক মহল। তাদের দাবি ছাটাই করা হয়েছে তাদেরই পুনরায় নিয়োগ করতে হবে। এদিকে ছাটাই হওয়া এক শিক্ষক জানান, দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে তিনি বিদ্যালয়ে চাকরিরত আছেন। গত কয়েকদিন আগে তাদের একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই পরীক্ষা নেওয়ার পর রাজ্য কোর্ডিনেটর শুভেন্দু বিকাশ দত্ত এবং জেলা কোর্ডিনেটর পুলক ভট্টাচার্য তাদের মৌখিকভাবে জানিয়ে দেন তারা যাতে বিদ্যালয়ে আর না আসেন। আর যদি আসে তাহলে বেতন পাবে না। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুসারে তাদের মধ্যে কেউ বি এড এবং মন্তেশ্বরীর প্রশিক্ষণ পর্যন্ত গ্রহণ করেছেন। তারপরও তাদের চাকরি হারাতে হলো। তাদের বেতন ৪০৬০ টাকা। কিন্তু এই বেতনে তারা সন্তুষ্ট থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের মন প্রান উজাড় করে পড়াতেন। তাদের হাত দিয়ে বহু ছেলে মেয়ে আজ প্রতিষ্ঠিত। অথচ আজ তাদের চাকরি হারাতে হলো। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন ছাতাইকৃত শিক্ষক। পরবর্তী সময় বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ অভিভাবক মহলের সাথে আলোচনার টেবিলে বসেন। কিভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায় তার জন্য বিভিন্ন কৌশলে চেষ্টা শুরু করেছেন। যাইহোক দীর্ঘ সময় শিক্ষকতার চাকরি করার পর আজ চাকুরি হারিয়ে দিশেহারা চাকরিচ্যুত শিক্ষক শিক্ষিকারা।