Wednesday, April 9, 2025
বাড়িরাজ্যআন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন টি এস এফ নেতৃত্ব

আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন টি এস এফ নেতৃত্ব

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২৩ মার্চ: ককবরক ভাষা রোমান হরফের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহার সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন টি এস এফ নেতৃত্ব। রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন টিএসএফ -এর প্রাক্তন নেতৃত্ব রাজেশ্বর দেববর্মা, টিএসএফ আগরতলা টাউন কমিটির সভাপতি জন দেববর্মা, বিকাশ দেববর্মা সহ অন্যান্যরা। বিগত দিনে যেভাবে নাটক মঞ্চ তৈরি করেছিলেন সেই কায়দাই অনুসরণ করলেন নেতৃত্ব।

গত দুদিন রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রী, রোগী, শ্রমিক, মহিলা ও কর্মচারী থেকে শুরু করে সকল অংশের মানুষকে নাজেহাল করে অবশেষে বনধ প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিলেন এদিন। তারা বলেন, শনিবার টিএসএফ নেতৃত্ব আগরতলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য জুড়ে চলা ধর্মঘট সাময়িক সময়ের জন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে নতুন করে সোমবার থেকে পুনঃরায় জমায়েতের ডাক দেয়। শেষ পর্যন্ত রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার আহ্বানে সাড়া দিয়ে টিএসএফ-এর নেতৃত্ব মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। মুখ্যমন্ত্রী তাদের দাবির সাথে সহমত পোষণ করে আশ্বাস দেন সহসাই সকলকে নিয়ে একটা কমিটি গঠন করা হবে।

যাতে করে তাদের দাবি পূরণ হয়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এই আশ্বাস পাওয়ার পর টিএসএফ-এর সাধারন সম্পাদক হামলু জমাতিয়া মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছেন। তাই আপাতত তারা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সোমবার রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট হবে না বলে জানান। তবে রাজ্যের মানুষ এগুলি গত কয়েক বছরের দেখে অভ্যস্ত। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দাবিকে সামনে এনে জাতীয় সড়ক অবরোধ থেকে শুরু করে জনগণের সমস্যার সৃষ্টি করেছে তারা। পরবর্তী সময় সরকারের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে আন্দোলন প্রত্যাহারো করে নিয়েছে। কিন্তু দুর্ভোগ এবং ক্ষতির পরিমাণ চুকিয়ে দিতে পারে না নাটক মঞ্চ তৈরি করা নেতা এবং তাদের সাবাসি দেওয়া নেতারা। এক কথায় পরিষ্কার রাজ্যের মানুষ সব বোঝে, এটাই ভাইরাল সামাজিক মাধ্যমে। সামাজিক মাধ্যমে আগেই ভাইরাল হয়েছিল হয়তো সরকারের আলোচনার জন্য তাদের ডাকবে। সে আশায় চাতক পাখির মত বসে আছে টি এস এফ এবং মথার নেতৃত্ব। আর সেটাই বাস্তব হলো। অথচ রাজ্যে গত দুদিনে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখ দেখতে হলো সাধারন মানুষকে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!