স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২২ মার্চ : রাজধানীর রাজনগর এলাকায় সিপিআইএমের সভায় আক্রমণ সংগঠিত করল দুর্বৃত্তরা। অভিযোগের তীর শাসক দল আশ্রিত দুর্বৃত্ত বাহিনীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন সিপিআইএম পশ্চিম ত্রিপুরা জেলা সম্পাদক রতন দাস সহ ১০ থেকে ১২ জন নেতৃত্ব ও কর্মী সমর্থক। তাদের আঘাত মাথায়, পিঠে এবং মুখে। তারা ঘটনার পর কোনক্রমে কর্মসূচি স্থল থেকে পালিয়ে হাসপাতাল আসে। বর্তমানে তারা সকলেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী মানিক দে জানান, এই ঘটনা পুরোপুরি বর্বচিত ঘটনা। পুলিশের অনুমোদন নিয়ে রাজনগরের এলাকায় কর্মসূচিতে গিয়েছিলেন সিপিআইএম নেতৃত্ব উপর সমর্থক।
কিন্তু পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দেয়নি। পুলিশের দায়িত্ব ছিল সেখানে আগে থেকেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা। অথচ পুলিশ সেটা না করার পেছনে মূলত পরিকল্পিত বলে মনে করছেন মানিক দে। তিনি আরো বলেন, এই দিনের ঘটনা পুরোপুরি ভাবে স্পষ্ট শাসক দলকে সুযোগ করে দিয়েছে পুলিশ। পরবর্তী সময় এই ঘটনার প্রতিবাদে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা আগরতলা শহরে এক বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করে পশ্চিম আগরতলা থানা ঘেরাও করে। নেতৃত্ব দেন সিপিআইএম -এর নেতা তথা প্রাক্তন সংসদ শংকর প্রসাদ দত্ত। মানুষের জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে শনিবার বিকেলে রাজনগর এলাকায় ভারতের মার্কসবাদী পার্টি একটি কর্মসূচি সংঘটিত করতে গিয়েছিল। সেখানে সিপিআইএম পশ্চিম জেলা কমিটির সম্পাদক রতন দাস যখন বক্তব্য রাখতে মঞ্চে উঠেছিল তখন স্থানীয় মন্ডলের নেতৃত্বে আক্রমণ সংঘটিত করে।
এবং সিপিআইএম নেতৃত্বদের মাথা ফাটিয়ে দেয়। শুধু তাই নয় তাদের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। একই সঙ্গে কর্মীর সমর্থক ও শ্রোতা যারা ছিল তাদের উপরও আক্রমণ সংঘটিত করে। মোট ছয় থেকে সাত জন জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সবচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো পুলিশ সেখানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেনি এবং যারা এই ঘটনা সংঘটিত করেছে তাদের গ্রেফতার করার কোন উদ্যোগ নেয়নি। তাই ডেপুটেশন প্রদান করে দাবি করা হচ্ছে যাতে আজকের মধ্যেই দোষীদের গ্রেফতার করা হয়। তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন সংগঠিত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।