স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ২২ মার্চ : ককবরক রোমান হরফের দাবিতে দ্বিতীয় দিনও বিভিন্ন জায়গায় চলছে বনধ্ । শনিবার আগরতলা আই এস বি টি চন্দ্রপুর স্ট্যান্ড থেকে যান চলাচলের প্রকার ভাবে বন্ধ ছিল। গনা কয়েক ছোট গাড়ি চম্পকনগর, জিরানিয়ার উদ্দেশ্যে চলাচল করলেও বাস পরিষেবা ছিল সম্পূর্ণ বন্ধ। আগরতলা – গোহাটি রুটে শেরাওয়ালি বাস পরিষেবাও বন্ধ ছিল, একই সাথে ধর্মনগর, কমলপুর, কৈলাশহর, গন্ডাছড়া বাস পরিষেবা বন্ধ ছিল।
এ বিষয়ে এক বাস চালক জানান, শুক্রবার থেকে তারা গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছে। কারণ হাওয়াই বাড়ি, ৮২ মাইল সহ বিভিন্ন এলাকায় টি এস এফ -এর পক্ষ থেকে গাড়ি চালকদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। শুক্রবার সকাল সাতটায় ৮২ মাইল এলাকায় গোহাটি -আগরতলা গামী বাস পিকেটারদের জন্য আটকে পড়ে। গাড়িতে ছিল প্রায় কুড়ি থেকে ২২ জন যাত্রী। এর মধ্যে ছিল বহু শিশু, বৃদ্ধ এবং বিদেশি পর্যটক। তারা রাত বারোটা পর্যন্ত গাড়িতে বসে থেকে কাহিল হয়ে পড়ে। রাত বারোটার পর গাড়িটি ৮২ মাইল থেকে আবার আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা হলে তেলিয়ামুড়া স্থিত হাওয়াই বাড়িতে আবারো পিকেটারদের জন্য আটকে পড়ে। শনিবার সকাল সাতটার নাগাদ গাড়ি আবার আগরতলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বড়মুড়ায় পিকেটার থাকায় খোয়াই দিয়ে ঘুরপথে যাত্রীদের নিয়ে চন্দ্রপুর বাসস্ট্যান্ডে এসে পৌঁছায় আগরতলা গ্রামী বাস। এতে শুক্রবার এবং শনিবার দুদিন আগরতলা থেকে গোহাটি পর্যন্ত যেসব যাত্রীরা যাওয়ার কথা ছিল তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। তাদের নিয়ে গোহাটি রওনা হতে চিন্তা করছে গাড়ির মালিক থেকে শুরু করে চালক ও সহচালক। অপরদিকে সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত নাগেরজলা থেকে দক্ষিণ জেলা, গোমতী জেলা এবং সিপাহীজলা জেলার গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল।
গাড়ি চালকদের বক্তব্য, রাস্তায় আন্দোলনের ফলে তারা গাড়ি নিয়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। কারণ ব্যবসার অবস্থা অত্যন্ত মন্দা, তার উপর যদি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় তাহলে সেটা সরকার বহন করবে না। পাশাপাশি সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট গাড়ি চালকরা। তাদের বক্তব্য রেল পরিষেবা চালু হওয়ার কারণে যাত্রীরা মোটরস্ট্যান্ড মুখী হচ্ছে না। তার উপর কিছুদিন বাদে বাদে এ ধরনের বনধ্ ডেকে পরিবহন শ্রমিকদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। সংসার পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হয়। গাড়ি চালিয়ে মালিকপক্ষকে ন্যায্য পাওনা মিটিয়ে দিতে পারছে না বলেও জানান এক গাড়ি চালক। পাশাপাশি সোনামুড়া মোটরস্ট্যান্ডেও এদিন লক্ষ্য করা গেছে যাত্রীশূন্য অবস্থা। গাড়ি চালকদের বক্তব্য, খুব কম গাড়ি চলাচল করছে। যাত্রীরাও চলাচল করতে চাইছে না।