স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ এপ্রিল : প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর লক্ষ্যই থাকে ব্যক্তিত্ব নির্মাণের জন্য পড়াশুনা করা। সর্ব শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হতে হবে। যে কোন বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে গেলে এটা আবশ্যক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের সাধারন মানুষের কৃতিত্ব তুলে ধরতে চায়। এটা আগে কোন সময় হয়নি। আগে দেশের প্রধানমন্ত্রীদের দূর থেকে দেখতে হতো।
তাদের সম্পর্কে জানার সুযোগ ছিল না। কিন্তু এখন সকলে প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট দেখেন। সোস্যাল মিডিয়ার কারনে সকলের সামনে চলে আসেন তিনি। ডিজিটাইলেজেশন, ইন্টারনেট ব্যবস্থা, সি এস সি-র ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। মন কি বাতের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নিজের প্রকল্পগুলি নিয়ে কথা বলেন না। মানুষের সাফল্যের দিক গুলি তুলে ধরেন। এগুলি দেখা দরকার। শুক্রবার রবীন্দ্র ভবনে বি বি এম, আইন মহাবিদ্যালয়, এম বি বি, রামঠাকুর মহাবিদ্যালয় ও মহিলা পলেট্যাকনিকের ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
কেবল মুখে বলে, ভাষণ দিয়ে মহিলাদের অধিকার রক্ষায় বিষয়ে বিশ্বাসী নয় বর্তমান সরকার। তাকে সাংবিধানিক ভাবে কার্যকর করে দেখিয়েছে বর্তমান সরকার। সরকারী চাকুরীতে মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ সহ একাধিক উদ্যোগের ঘোষণা ও কার্যকর করেছে সরকার। কিন্তু মহিলাদের এটা জানা উচিৎ। না হলে তাঁর সুফল ভোগ করতে পারবে না। এই ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ পূরণ করা না গেলে শূন্য পদে পুরুষেরা সুযোগ পাবে। মহিলাদের জন্য সিদ্ধান্ত গুলির ক্ষেত্রে বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মহিলারা যাতে জমির মালিক হয় তাঁর জন্য বিশেষ ঘোষণা করেছে সরকার। স্টাম ডিউটিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে মহিলাদের জন্য বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মহিলাদের রোজগার দেওয়ার রাস্তা তৈরি করছে সরকার। দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক আঙিনা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ ব্যক্তিত্বপূর্ণ ছবি ও গ্রহণযোগ্যতার ফলশ্রুতিতে, ভাবি প্রজন্ম রাজনীতিতে আত্মনিবেশ করতে আগ্রহী হচ্ছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে মত বিনিময়ের মাঝে, বেশ কয়েকজন রাজনীতিতে অংশগ্রহণের দ্বারা সমাজ সেবামূলক কাজে আত্মনিয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ছাত্র মনে, এই ভাবনার সঞ্চার, ইতিবাচক বার্তা বলেও মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দপ্তর আধিকারিক এবং বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক শিক্ষিকারা।