Friday, March 29, 2024
বাড়িরাজ্যবাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট ২০২২ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন

বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট ২০২২ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৮ এপ্রিল : উন্নয়নের অন্যতম শর্ত যোগাযোগের অত্যাধুনিকীকরণ করা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আন্তরিক দৃষ্টির ফলে, যোগাযোগের প্রতিটি ক্ষেত্রে দ্রুততম নয়া দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে ত্রিপুরায়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি বেসরকারি হোটেলে ডিজিটাল বাংলাদেশ আইটি বিজনেস সামিট ২০২২ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।

তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশন, স্বচ্ছতার সাথে সাথে পরিষেবা প্রদানের অন্যতম মাধ্যম বর্তমান সরকারের। প্রযুক্তিনির্ভর বাণিজ্য, সীমানার গন্ডিতে অপ্রতিরুদ্ধ দিকে বিশেষ নজর রয়েছে দুই দেশের সরকারের। ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান নির্ভর বাণিজ্যিক সম্পর্ক সাংস্কৃতিক বিনিময়ের পথকেও মসৃন করে দুই দেশের সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা সরকারের। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে, বাংলাদেশ জিডিপি সহ অনেকাংশেই সাফল্যের নজির স্থাপন করেছেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। আরো বলেন, বিচক্ষণমূলক নেতৃত্বে গ্রাম ভিত্তিক ভারতীয় অর্থনীতি করোনা পরিস্থিতিতেও সমহিমায় ইতিবাচক স্থানেই ছিল। সরকারের লক্ষ্য বানিজ্য এগিয়ে নিয়ে যাওয়া বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরায় শিল্পের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ডাটা সেক্টর সহ ত্রিপুরা – বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ সম্ভাবনাময় অন্যান্য ক্ষেত্রে উপযোগী  শিল্পস্থাপনের সহায়ক। চিটাগং স্থল-বন্দর উন্মোচন দ্বারা, দুই দেশেরই আর্থিক সমৃদ্ধির সুযোগ সম্প্রসারিত হবে। ঢাকা, চিটাগং -এর সাথে আগরতলার বিমান পরিষেবা সূচনা সহ বাংলাদেশের নাগরিকরা যেন মহারাজা বীর বিক্রম বিমান বন্দর হয়ে সহসায় যাতায়াতের সুযোগ পায়, এই বিষয়ে বর্তমান সরকারের ইতিবাচক পরিকল্পনা রয়েছে যা  বাণিজ্যিক সম্ভাবনাতেও গতি আনবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বক্তব্য রেখে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের গৌরবোজ্জ্বল উপস্থিতিতে ২৮ এপ্রিল ও ২৯ এপ্রিল দুইদিন ব্যাপী “বাংলাদেশ-ভারত আইটি সামিট ২০২২” এর উদ্বোধনী হয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো দুই দেশের শিল্প ও বাণিজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। এতে কর্মসংস্থানো হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। অনুষ্ঠানে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সাংসদ জে আহমেদ পালাক, বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মহম্মদ, মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য