আগরতলা, ২৭ এপ্রিল (হি.স.) : কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে উপলব্ধ অক্সিজেন প্ল্যান্ট সহ চিকিৎসা সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখা এবং এ বিষয়ে নিয়মিত পর্যালোচনা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে ভার্চুয়াল বৈঠকের পর স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের এই নির্দেশ দিয়েছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। ত্রিপুরায় সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই ভার্চুয়াল মতবিনিময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বুধবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব দেশে বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি এবং টিকাকরণের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। এছাড়াও আজকের এই ভার্চুয়াল বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীগণ কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্যগুলির প্রস্তুতি সহ জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রে যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থাসমূহ, স্বাস্থ্য পরিকাঠামোগত পরিস্থিতি এবং টিকাকরণের অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ভার্চুয়াল বৈঠকে ত্রিপুরায় সচিবালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রধানসচিব জেকে সিনহা, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের রাজ্য শাখার মিশন ডিরেক্টর ডা. সিদ্ধার্থ শিব জয়সওয়াল, পরিবার কল্যাণ ও রোগ প্রতিরোধ অধিকারের অধিকর্তা ডা. রাধা দেববর্মা, স্টেট সার্ভেইলেন্স অফিসার ডা. দীপকুমার দেববর্মা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সচিবালয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রধানসচিবের উপস্থিতিতে দফতরের আধিকারিকদের সাথে আলোচনা করেন। মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরায় কোভিড-১৯ প্রতিরোধে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে উপলব্ধ অক্সিজেন প্ল্যান্ট সহ চিকিৎসা সামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখা এবং এ বিষয়ে নিয়মিত পর্যালোচনা করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালগুলিতে রুটিন পর্যায়ে সেফটি অডিট করানোর জন্য দফতরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের জিবিপি এবং আইজিএম হাসপাতালের সৌন্দর্যায়নের উপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, হাসপাতালগুলি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং সুন্দর থাকলে রোগীরা মানসিকভাবে ভালো থাকেন।