স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ এপ্রিল : পরিবর্তন সরকার মানুষের আবদার শুনত না। আবদার শুনত তাদের পার্টি অফিস ও ক্যাডারদের। সেই নিতি বর্তমানে পরিবর্তন হয়েছে। পার্টি অফিস ও কার্যকরতাদের আবদার শোনা হয় না। ৩৭ লক্ষ ত্রিপুরাবাসীর আবদার শোনে বর্তমান সরকার। আর তাই ত্রিপুরার উন্নয়ন এবং বিকাশ মিশন মুডে হচ্ছে। জিরানীয়া ব্লক ও জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সোসাইটির উদ্যোগে বুধবার জিরানীয়া ডিগ্রী কলেজে অনুষ্ঠিত আয়ুষ্মান ভারত জিরানীয়া ভিত্তিক স্বাস্থ্য মেলায় বক্তব্য রেখে এমনটাই বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
কোভিড পরিস্থিতিতে কোভিড মোকাবেলার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী শিশু যোজনা চালু করেছে। ১৩ লক্ষ বেনিফিসেয়ারী রয়েছে। ৫ টি ওষুধ একত্রিত করে ১৮ –র নীচের শিশুদের কাছে পৌঁছে যায় সরকার। সেই সময় ১৮ উর্ধদের টিকাকরন শুরু হয়েছিল দেশে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে এবং অন্যকোন রোগে আক্রান্ত হলে কোভীড আক্রান্তের প্রবণতা বারে। শিশুদের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ওসুধ পৌঁছে দেওয়া হয় মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে। শিশুদের সুস্থ রাখতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এটা কেবল রাজ্য সরকার করেছে দেশের মধ্যে। পুরনো সরকার থাকলে এই ব্যবস্থা করত না বলে জানান তিনি। উল্টে কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষ চাপাত। প্রধানমন্ত্রী থাকাতে মানুষের জীবন রক্ষা পেয়েছে। আগের সরকার মানুষের আবদার শুনত না। আবদার শুনত পার্টি অফিস ও ক্যাডারদের। এটা বর্তমানে হয় না। পার্টি অফিস ও কার্যকরতাদের আবদার শোনা হয় না। ৩৭ লক্ষ ত্রিপুরাবাসীর আবদার শোনে বর্তমান সরকার বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী ১৩০ কোটি মানুষের কথা চিন্তা। কমিউনিস্টরা গরবী দরদী বলে প্রচার করে । আসলে তারা ভুয়া। গরবী দরদী হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২ বছর অতিক্রান্ত , ১৩০ কোটি মানুষের মধ্যে ৮০ কোটি মানুষের কাছে বিনামূল্যে ৫ কিলোকরে চাল পাঠাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী। পুরনো সরকার থাকলে মাক্স, টিকা, স্যানিটাইজার, অক্সিজেনের জন্য আন্দোলনে মানুষকে পথে নামাত। বর্তমান সরকারে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলা করেছে। চতুর্থ ঢেউ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। এর জন্য কাউকে আন্দোলন করতে হয়নি বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। আগের প্রধানমন্ত্রীরা ৫ বা ১০ বছরে ত্রিপুরার মাটিতে পা রাখত না। কিন্তু বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একডাকে ত্রিপুরার জন্য আসেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।
সরকার চালানোর সময় মাথায় রাখা এটা জনতার সরকার। একদলীয় ব্যবস্থায় বিশ্বাসী নন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিশ্বাস করেন সবকা সাথ সবকা বিকাশে। সেই দিশাতে কাজ করে রাজ্য সরকার। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘড় পেতে হলে কোন বিশেষ দলের হতে হয় না। আগের ক্ষমতাসীন দল গুলি রাজ্যে রাজনৈতিক ব্যবসা করে গেছে। বিজেপি রাজনীতির ব্যবসা করে না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এখন ত্রিপুরাতে বিনা আন্দোলনে সমস্ত কিছু হয়। কৃতদাসের মানসিকতা থেকে রাজ্যের মানুষ বেরিয়ে এসেছে বলে জানান তিনি। স্ব ভিমানী হয়েছে। পরে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিরা স্বাস্থ্য মেলায় থাকা স্টল গুলি ঘুরে দেখেন। তিনজন দিব্যাঙ্গের জন্য চলন সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, এন এইচ এম-র রাজ্য অধিকর্তা ডাঃ সিদ্ধার্থ শিব জশওয়াল, জিরানীয়া পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারপার্সন প্রীতম দেবনাথ সহ অন্যান্যরা।