স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ এপ্রিল : ভাগ্যের চাকা ঘুরে নি বাম আমলে। বর্তমান সরকার রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দিতে সংকল্পবদ্ধ। সে মোতাবেক চলছে প্রশাসনিক কাজ। আরো মিশন মুডে কাজ করতে খুমুলুঙে টিটিএএডসি’র প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স হলঘরে টাকারজলা ও জম্পুইজলা কেন্দ্রের এমডিসি প্রদ্যুত কিশোর দেববর্মণ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে পৌরহিত্য করেন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। “জল জীবন মিশন” প্রকল্পের মাধ্যমে এডিসি এলাকায় প্রকল্পের কাজে আরও গতি আনতে ও সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে প্রকল্পের সাথে যুক্ত সকল উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে আলোচনা করেন। এবং কাজের ক্ষেত্রে সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে অবগত হন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। পরে মন্ত্রী বলেন, সারা দেশের সাথে ত্রিপুরা রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে বিশেষ করে এডিসি এলাকায় বাড়ি বাড়ি নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দিতে ‘জল জীবন মিশন’ নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। রাজ্যেও গ্রামে গ্রামে কলের মাধ্যমে জল পৌঁছে দিচ্ছে ‘জল জীবন মিশন।’ প্রত্যন্ত অঞ্চল সহ এডিসি এলাকার সব ভিলেজ গুলোতে কলের মাধ্যমে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রকল্পের এই কাজ জারি রেখেছে পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তর। রাজ্যে সরকার “জল জীবন মিশন” রূপায়ণের ফলে গ্রামগুলিতে কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হচ্ছে। এবং গ্রামীণ অর্থনীতির বিকাশ ঘটছে। তাই এই “জল জীবন মিশন” প্রকল্পের রূপায়ণে কোনও ধরণের শ্লথ গতি এবং তহবিল সদ্ব্যবহারে উদাসীনতা যেনো না হয় তার জন্য আহ্বান জানান মন্ত্রী। ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিলের পূর্ণ সদ্ব্যবহার যাতে সঠিক সময়ে হয় সেদিকে দপ্তরের সাথে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান। বৈঠকে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী এডিসি এলাকায় জল জীবন মিশনের কাজে আরও গতি সঞ্চারের পরিকল্পনা করার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন। জল জীবন মিশন রূপায়ণের কাজে আরও গতি এনে নির্ধারিত সময়-সীমার মধ্যে “মিশন মুডে” যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির মতো প্রতিটি এডিসি এলাকায় বসবাসকারী পরিবারে জল সংযোগের সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
এম ডি সি প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণ জানান, ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের অন্তর্গত অনেক এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে বলে বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকেরা জানায়। যদিও জল জীবন মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে সেই সমস্যা অনেকটাই সমাধান করা হচ্ছে। তবুও অনেক এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল পাওয়া নিয়ে যে জটিলতা রয়েছে, তার দ্রুত সমাধান করতেই আজকের বৈঠকে টিটিএডিসি-এর প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে ইতিবাচক আলোচনা করা হয়েছে। পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান এবং টিটিএডিসি’র প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের উপস্থিতিতে এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এডিসি এলাকায় পানীয় জল সংক্রান্ত নানা সমস্যা ও সেগুলো থেকে উত্তোরণের সমাধান সূত্র খুঁজে বের করা হয় বলে জানান টাকারজলা এম ডি সি প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মন। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য পূর্ণচন্দ্র জমাতিয়া, স্বশাসিত জেলা পরিষদের ডেপুটি সিইএম অনিমেষ দেববর্মা, নির্বাহী সদস্য ভবরঞ্জন রিয়াং, এমডিসি তথা নির্বাহী সদস্য সুনীল কলই, পানীয় জল ও স্বাস্থ্যবিধান দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে,দপ্তরের মুখ্য বাস্তুকার রাজীব মজুমদার, বিভিন্ন সার্কেলের তত্বাবধায়ক বাস্তুকারেরা ও বিভিন্ন ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকারেরা।