স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১৪ মার্চ :ত্রিপুরার উন্নয়নের পালকে আরো একটি ঐতিহাসিক দিন। এর পাশাপাশি ত্রিপুরায় পর্যটন ক্ষেত্রকে উন্নয়নের লক্ষ্যে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আগরতলার পুরাতন রাজভবনের জায়গায় রাজ ঘরানার আদলে গড়ে উঠতে চলেছে একটি বিশ্বমানের অত্যাধুনিক হোটেল। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃ মানিক সাহার উপস্থিতিতে হোটেল নির্মাণের জন্য মৌ স্বাক্ষর সম্পাদিত হয়েছে।
এদিন ত্রিপুরা সরকার এবং ইন্ডিয়ান হোটেলস কোম্পানি লিমিটেড (আইএইচসিএল) এর মধ্যে তাজ পুষ্পবন্ত প্যালেস হোটেলের উন্নয়নের জন্য এমওইউ (মৌ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শিল্প ও বানিজ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে এবং হোটেল কোম্পানির পক্ষ থেকে জেনারেল ম্যানেজার জয়ন্ত দাস।
সংবাদ মাধ্যমকে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা জানিয়েছেন, এই হোটেলের জন্য মৌ স্বাক্ষর রাজ্যের ইতিহাসে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। অনেকদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে কথা হচ্ছিল। চূড়ান্ত করার জন্য কিছুটা সময় লেগেছে। শেষপর্যন্ত আজ টাটা গ্রুপের সঙ্গে ফাইভ স্টার হোটেলের জন্য মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে। সারা ভারতবর্ষে তাদের প্রায় ৬টি রাজকীয় হোটেল রয়েছে। আর ত্রিপুরায় প্রথম বারের মতো এধরণের বিশ্বমানের হোটেল হতে যাচ্ছে। এর নাম হবে তাজ পুষ্পবন্ত প্যালেস। প্রস্তাবিত এই হোটেলে চারটি এক্সক্লুসিভ রুম থাকবে। যেখানে রাজন্য আমলের ছোঁয়া থাকবে। এছাড়া আরো অন্তত ১০০টি রুম থাকবে। টাটা গ্রুপের চেইন মারফতে চার্টার ফ্লাইটে করে মানুষ এই হোটেলে থাকতে আসবেন। যা ত্রিপুরার মহারাজদের সম্পর্কে বিশ্বের মানুষকে অবগত করতে বিশেষ ভূমিকা নেবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই হোটেল গড়ে তোলার পেছনে আমাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন। ত্রিপুরা রাজ্যের পর্যটন স্থলগুলি খুবই উৎকৃষ্ট মানের। যা অনেকেই জানেন না। আর এই হোটেলে যারা থাকতে আসবেন তারা ভ্রমনের উদ্দেশ্যে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে যাবেন। এতে রাজ্যের পর্যটন সম্ভাবনা আরো বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে এই হোটেলের মাধ্যমে প্রায় ২০০’র মতো কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
পুষ্পবন্ত প্যালেসের জমিতে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বিশ্বমানের প্যালেস হোটেল গড়ে তোলা হবে। যা তৈরি হবে সম্পূর্ণ রাজ ঘরানার আদলে।