স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৯ মার্চ : বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি জনসমাবেশে এসে রাজ্যের জনগণকে বিজেপি -র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা আবারো মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেন। রবিবার বিকেলে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির রাজ্য সফরের পর এই অভিযোগ করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রবীর চক্রবর্তী ও যুব কংগ্রেস নেতা শাহাজাহান ইসলাম। তারা আরো বলেন, ২০১৮ সালের প্রতিশ্রুতি এখনো বিজেপি সরকার গত সাত বছরে পূরণ করতে পারল না, কিন্তু নতুন করে আবারও গল্প শুনিয়ে গেলেন, যে মাধ্যমিক পাস করলে নাকি স্কুটি দেওয়া হবে এবং ৫০ হাজার টাকা বন্ড দেওয়া হবে কন্যা সন্তান জন্ম হলে।
১৮ বছর পর দশ লক্ষ টাকা হবে। অথচ করোনার সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেছিল করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা সরকারি ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আজও ত্রিপুরার কেউ এই ক্ষতিপূরণ পায়নি। সেই ১০ লক্ষ টাকার গল্পের মতোই। ১৮ সালে নির্বাচনের আগে বিজেপি বলেছিল কলেজ পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের স্মার্টফোন প্রদান করবেন, কিন্তু তা দেয়নি। বহু তালবাহানার পর চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে মুষ্টিময় কিছু ছাত্র-ছাত্রীদের দিয়েছেন। যা দিয়ে স্মার্ট ফোন তো কেনা দূরের কথা সাধারন ফোন ক্রয় করতে পারবে না ছাত্রছাত্রীরা। অথচ স্কুটি দেবে বলছেন মাধ্যমিক পাস করলে। মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে গেলেন তার বড় প্রমাণ ১৮ সালের আগে কেউ স্কুটি চালানোর লাইসেন্সই পাবে না বা সরকার ইচ্ছে করলে স্কুটি তাকে দিতে পারবে না। ১৮ বছর আগে তাহলে কিভাবে ঘোষণা করে গেলেন জেপি নাড্ডা।
প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র আরো বলেন, যুবকদের সরকারি চাকরি বা কর্মসংস্থানের জন্য কিছুই বলতে পারলেন না জেপি নাড্ডা। তিনি বলেছেন ৩০ শতাংশ অপরাধ নাকি কমে গিয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যে অথচ প্রতিদিন রাজ্যের কোথাও না কোথাও নারী গঠিত অপরাধ থেকে শুরু করে অপহরণের মতো অপরাধ ঘটে যাচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িত বিজেপির নেতাকর্মী থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত প্রধান এবং প্রধানের পরিবার। শাসক দলের হওয়ায় পুলিশ নির্বিকার। তিনি আরো বলেন, দুজন সাংবাদিক হত্যার খুনিদেরকে নাকি শাস্তির ব্যবস্থা করবেন আজ আবারও মুখ্যমন্ত্রী বললেন। অথচ গত সাত বছর ধরে বিজেপি সরকার একই বক্তব্য রেখে যাচ্ছেন কিন্তু অপরাধীকে আর খুঁজে বের করতে পারছেন না। আবারও মিথ্যা গল্প বললেন মুখ্যমন্ত্রী বলে কটাক্ষ করলেন প্রবীর চক্রবর্তী। তিনি আরো বলেন, সারা দেশের মধ্যে নয় শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বেকারত্ব, কিন্তু ত্রিপুরা রাজ্যে সাড়ে চৌদ্দ শতাংশ বেকারত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। তা কমানোর জন্য সরকার কোন দিশা দেখাতে পারেনি। শুধু বড় বড় কথা বলে গেলেন জেপি নাড্ডা। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সহসভাপতি শান্তি রঞ্জন দেবনাথ।