স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৮ মার্চ : সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির ত্রিপুরা ইনচার্জ তথা সাংসদ সপ্তগিরি শঙ্কর উলাকা ত্রিপুরা রাজ্য সফরে এসেছেন। রাজ্য সফরে এসে তিনি শুক্রবার এবং শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে রাজ্য স্তরের নেতৃত্ব এবং ব্লক কংগ্রেস ও জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বের সাথে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর শনিবার দুপুরে প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি জানান, ২০২৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এখন থেকেই কংগ্রেস প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রদেশ কংগ্রেসকে মজবুত করতে কিভাবে এগোতে হবে সে বিষয় নিয়ে কার্যকর্তাদের সাথে বৈঠক হয়েছে। একই সাথে আগামী দিন দলের রাজনীতি কি হবে সেই মার্ক দর্শন তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বদের দিয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন যে সমস্ত সমস্যাগুলো সামনে এসেছে সেগুলি সাংগঠনিক নেতৃত্বদের নিয়েই সমাধান করে কংগ্রেস আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছে। তিনি বলেন ত্রিপুরার মধ্যে শুধু বেকারত্ব ও গুন্ডাগিরি বাড়ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য দেশ থেকে এবং রাজ্য থেকে বিজেপিকে পরাজিত করা কংগ্রেসের মূল লক্ষ্য হবে। এদিকে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্ব তথা বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন প্রদেশ বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, তিনি বুঝতে পারছেন না বিজেপির সাত বছর পূর্তি নাকি দু’বছর পূর্তি হতে চলেছে।
কারণ বিভিন্ন ফ্ল্যাগ ফেস্টুনের মধ্যে লেখা সাত বছর পূর্তি, অথচ বলছে বর্তমান সরকারের দুই বছর পূর্তি। এ বিষয় নিয়ে ষ্পষ্টিকরণ চাইলেন সুদীপ রায় বর্মন। তিনি আরো বলেন, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী দু বছর পূর্তির লীলা উৎসব হবে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে। সরকারি কর্মচারী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, ডি.আর.ডব্লিউ সহ সকলকে জোর জবরদস্তি করে বিজেপি-র এই অনুষ্ঠানে আনার জন্য চেষ্টা করছে। তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে আরো বলেন, দেশ সব ক্ষেত্রেই পিছিয়ে যাচ্ছে। আর মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, ত্রিপুরায় উন্নয়নের যজ্ঞ চলছে, বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রত্যক্ষ করার জন্য। কিন্তু বাস্তবে, এ সরকার সব ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হয়ে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করতে চাইছে বলে বরাবর অভিযোগ তোলেন সুদীপ রায় বর্মন। আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এদিন এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ কান্তি বিশ্বাস, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা, বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়।