স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ এপ্রিল : হিন্দি ভাষাকে ত্রিপুরার মাটিতে চাপিয়ে দিয়ে বাংলা ভাষাকে অবদমন করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র সরকার। এর তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। প্রয়োজনে ত্রিপুরার বুকে আরো একটি ভাষা আন্দোলন গড়ে উঠবে। মঙ্গলবার আমরা বাঙালি রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান আমরা বাঙালির রাজ্য সম্পাদক গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল।
তিনি এদিন সরকারের ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন কেন্দ্র এবং রাজ্যের বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই লক্ষ্য করা গেছে হিন্দি ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার নাম দিয়ে সারাদেশে চালু করতে চাইছে। কিন্তু দেশবাসী জানে ভারতবর্ষের রাষ্ট্রীয় ভাষা বলতে কিছু নেই। ২২ টি ভাষা বাংলা সহ অষ্টম তপশিলি অন্তর্ভুক্ত করা আছে। আর এই ভাষাগুলির মাধ্যমে সরকারি কাজকর্ম চলতে পারে। সেই অনুযায়ী বিভিন্ন রাজ্যে আঞ্চলিক ভাষায় সরকারি কাজকর্ম শুরু হয়েছে।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাংলা ভাষাকে ষড়যন্ত্র করে অবদমন করতে চাইছে বিজেপি সরকার। মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলা ভাষাকে সরিয়ে দেওয়া। এবং হিন্দি ভাষায়কে চাপিয়ে দিতে চাইছে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে এখন বাংলা ভাষার পরিবর্তে হিন্দি ভাষাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। আগামী দিনে বাঙালি জাতি বাংলা ভাষাকে রক্ষা করতে রুখে দাঁড়াবে বলে তিনি জানান। বাঙালি জাতিকে দুর্বল ভাবা ঠিক নয়। বাঙালির ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না, কারণ বাঙালি দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে বড় অবদান পালন করেছে বাঙালি। আরে বাঙালিদের বিরুদ্ধে কোন চক্রান্ত করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকার ভাবছে বাঙালি এর মধ্যে হীনমন্যতা ঢুকিয়ে দিয়ে হিন্দি ভাষার প্রতি আকৃষ্ট করবে। সে চক্রান্ত কখনো সফল হবে না। বাঙালি সংস্কৃতি কিছুতেই ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। সুতরাং আজকের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কেন্দ্রীয় সরকারকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে তারা যদি সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে তাহলে আরো একটি ভাষা আন্দোলন গড়ে উঠবে ত্রিপুরা রাজ্যের মাটিতে। প্রয়োজনে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতির কৃষ্টি সংস্কৃতি রক্ষা করবে বলে জানান তিনি। সরকার যদি বল প্রয়োগ করতে চায় তাহলে অচিরেই আন্দোলন গড়ে উঠবে বলে হুশিয়ারি দেন গৌরাঙ্গ রুদ্র পাল।