স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ৫ মার্চ : দুর্নীতির সাগরে ভাসছে সিপাহীজলা জেলা আরক্ষা প্রশাসন। সম্প্রতি সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এইবার সামনে আসলো সিপাহীজলা জেলা ট্রাফিক ইউনিটের আর্থিক কেলেঙ্কারি। ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অমরজিৎ দেববর্মাকে। জরিমানা হিসাবে আদায় করা ৭৪ লক্ষ ৪ হাজার ৪০০ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুর্নীতির সাগরে ভাসছে সিপাহীজলা জেলা আরক্ষা প্রশাসন। সম্প্রতি সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে এইবার সামনে আসলো সিপাহীজলা জেলা ট্রাফিক ইউনিটের আর্থিক কেলেঙ্কারি। জানা যায় সিপাহীজলা জেলা ট্রাফিক ইউনিটে কর্মরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অমরজিৎ দেববর্মার নাম জড়ালো আর্থিক কেলেঙ্কারির সাথে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর মামলা দায়ের করা হয় বিশালগড় থানায়। মামলার তদন্তকারি অফিসার হলেন সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব সূত্রধর। রাজীব সূত্রধর জানান বিভিন্ন সময় ট্রাফিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায় করে। সিপাহীজলা জেলা ট্রাফিক ইউনিটের জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অমরজিৎ দেববর্মা। কিছুদিন পূর্বে ধরা পরে সিপাহীজলা জেলা ট্রাফিক ইউনিটের জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা পড়েনি।
সেই সময় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অমরজিৎ দেববর্মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে জানায় সে জরিমানা হিসাবে আদায় করা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে। পরবর্তী সময় আভ্যন্তরীণ তদন্ত করা হয়। সেই তদন্তে ধরা পরে ৮ টি চালানের মোট ৭৪ লক্ষ ৪ হাজার ৪০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয় নি। তখন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অমরজিৎ দেববর্মাকে এই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে সে আত্মসাৎ করা টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয় নি। তারপর বিশালগড় থানায় মামলা দায়ের করা হয় ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অমরজিৎ দেববর্মাকে। মঙ্গলবার রাতে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অমরজিৎ দেববর্মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডের আর্জি জানিয়ে ধৃত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অমরজিৎ দেববর্মাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্তকারি অফিসার তথা সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব সূত্রধর। জানা যায় অভিযুক্ত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অমরজিৎ দেববর্মার সাথে এই টাকা আত্মসাৎ করার পিছনে জড়িত রয়েছেন এক মহিলা পুলিশ কর্মীও। দীর্ঘ দিন ধরে সেই মহিলা পুলিশ কর্মীর সাথে প্রণয় ঘটিত সম্পর্ক চলছে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অমরজিৎ দেববর্মা। এখন দেখার পুলিশের তদন্তে কি তথ্য বেরিয়ে আসে।