Monday, February 10, 2025
বাড়িরাজ্যসরকারি কর্মচারীদের হাড় ভেঙ্গে গুড়ো করে দেওয়ার কথা বলতে পারেন না কোন...

সরকারি কর্মচারীদের হাড় ভেঙ্গে গুড়ো করে দেওয়ার কথা বলতে পারেন না কোন জনপ্রতিনিধি : স্বপন বল

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ অক্টোবর : রাজ্যের শিক্ষক-কর্মচারিদের বিভ্রান্ত করতে পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। কোন প্রতিশ্রুতি সরকার পালন করছে না। কিন্তু কিছু মহল সরকারের পক্ষপাতিত্ব হয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। এবং সরকারি কর্মচারিদের সমস্যার সমাধান না করে দমন-পীড়নের নীতি গ্রহণ করছে। তাতে করে সরকারি কর্মচারিদের মধ্যে প্রচন্ডভাবে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার ত্রিপুরা কর্মচারি সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে সমন্বয় ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই অভিযোগ তুলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বল।

 অভিযোগ তুলে বলেন বিগত কয়েক মাসে রাজ্যে ৭০ জন শিক্ষক-কর্মচারি দৈহিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। রাজ্যের একজন জনপ্রতিনিধি বলছেন সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে যারা কাজ করেন না তাদের হাল ভেঙ্গে গুড়ো করে দেবেন। এর বিরুদ্ধে ত্রিপুরা কর্মচারি সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে মামলাকারীদের আস্থা আছে। কোন কর্মচারি যদি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করে তাহলে এটা দেখার দায়িত্ব উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের। কিন্তু কোন কর্মচারিকে মেরে হাড় ভেঙে দেওয়ার কথা জনপ্রতিনিধি বলতে পারেন না। একটি সাংবিধানিক পদে বসে আইনকে এভাবে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখানো ঠিক নয়। বর্তমান সরকার শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য কোনোভাবেই মানবিকতা দেখাচ্ছে না। সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি কর্মচারিদের নিজ বাসভবন থেকে দূর দূরান্তে বদলি করে দেওয়া হচ্ছে। তাতে করে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকা বদলি হয়েছেন। এবং তাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন প্রতিবন্ধী এবং অসুস্থ। সরকার কোন কিছু বিবেচনা না করে এভাবে বদলি করে চলেছে। এবং সরকার বলছে জনগন চাইছে বলে সরকারি কর্মচারীদের বদলি করা হচ্ছে। কিন্তু এই কথার কোন যুক্তি নেই।

সরকারের এমন ভূমিকায় প্রশ্ন হয়ে যাচ্ছে সরকারি কর্মচারিদের অসুবিধায় ফেলার দৃষ্টিভঙ্গিতে এধরনের বদলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। সরকার ৪২ মাসে মাত্র একবার ডি এ প্রদান করেছে। তাও ৩ শতাংশ ডি এ প্রদান করেছে। বর্তমানে ২৫ শতাংশ ডি এ বকেয়া রয়েছে সরকারি কর্মচারীদের। সরকার বলছে দুর্গাপূজায় ২০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে বাজার চাঙ্গা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সরকার যদি বকেয়া ডি এ মিটিয়ে দেয় তাহলেই বাজার চাঙ্গা হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন স্বপন বল। কেন্দ্রীয় সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি কতটা কার্যকর করা হয়েছে তা সকলেরই জানা। বিগত সরকার যা প্রদান করেছিল তার সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত রেখে শুধুমাত্র ইনডেক্স সামান্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিগত সরকার সকল ক্ষেত্রে ২.২৫ হারে ইনডেক্স বৃদ্ধি করেছিল। বর্তমান সরকার সামান্য ইনডেক্স করার ক্ষেত্রেও নতুন করে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। সর্বনিম্ন বৃদ্ধি ০.০৯ থেকে ০.৩২ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সপ্তম বেতন কমিশনের সর্বনিম্ন ইনডেক্স ২.৫৭ । সুতরাং সরকার সপ্তম বেতন কমিশন প্রদান করেছে বলে প্রচার করছে। এতে হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার না শুনে না বুঝে এধরনের মন্তব্য করছে। এমনটাই দাবি করলেন স্বপন বল। পাশাপাশি এদিন তিনি অনিয়মিত কর্মচারিদের ১০ বছর উত্তীর্ণ হলে নিয়মিতকরণ করার জন্য দাবি জানান। এবং ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে এনপিএস চালু হওয়া রিতি পরিবর্তন করে পূর্বের ডিফাইন পেনশন স্কিম চালু করার দাবি জানান তিনি।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য