Wednesday, March 19, 2025
বাড়িরাজ্যচাকরির পরীক্ষায় বসে গ্রেফতার ৭

চাকরির পরীক্ষায় বসে গ্রেফতার ৭

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা। ১৭ ফেব্রুয়ারি : রবিবার ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এল ডি সি এবং এম টি এস চাকরির পরীক্ষায় বসে গ্রেফতার ৭ জন। ধৃতদের আদালতে তুলে আমতলী থানার পুলিশ। ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এল ডি সি এবং এম টি এস পরীক্ষায় অসৎ উপায় অবলম্বন করেছেন অভিযোগ ৫ জনের বিরুদ্ধে। অপরদিকে পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিতে বসেছিল দুইজন। তাদের সকলকে আদালতে তুলে পুলিশ। জানা গেছে রবিবার ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ে এল ডি সি এবং এম টি এস পরীক্ষা ছিল ত্রিপুরার বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কক্ষে।

পরীক্ষা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তল্লাশির দায়িত্বে ছিলেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে যখন শিক্ষকরা পরীক্ষার্থীদের তল্লাশি করছিল তখন বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী অসৎ উপায় অবলম্বনের সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে। তাদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মৃন্ময় বিশ্বাস, লিটন বিশ্বাস, মিটন মন্ডল, হরিয়ানার রাজবীর সিং এবং রাহুল কুমার। শিক্ষকরা দেখতে পায় তারা তাদের পায়ের জুতার ভেতরে মোবাইল লুকিয়ে সেখান থেকে তারা ব্লুটুর মাধ্যমে পরীক্ষায় নকল করছে। সাথে সাথেই শিক্ষকরা তাদের উত্তর পত্র নিয়ে নেয় এবং তাদেরকে এই বছরের পরীক্ষা থেকে বহিস্কার করা হয়। এদিন পরীক্ষা হলে শিক্ষকরা তল্লাশি করতে  গেলে আরো দেখতে পায় রেজিস্ট্রেশনে লিপিবদ্ধ থাকা দুইজন পরীক্ষার্থীর সাথে কোন ভাবেই মিল নেই পরীক্ষা দিতে আসা দুই পরীক্ষার্থীর। বিহারের পঙ্কজ কুমার এবং রাজস্থানের রাম বীর মিনাকে শিক্ষকরা  জিজ্ঞাসা করলে তারা স্বীকার করে যে অন্য পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে।

 সাথে সাথে তাদের উত্তরপত্র ছিনিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ। রবিবার রাতে তাদের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমতলী থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তাদের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে  আমতলী থানায় লিখিতভাবে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আমতলী থানার পুলিশ রবিবার রাতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে জোর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। সোমবার বিকেলে অভিযুক্তদের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আমতলী থানার ওসি হিমাদ্রি সরকার বিস্তারিত তথ্য জানান। তবে ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পরীক্ষার্থীদের ধারণা ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের  পরীক্ষা হলে এই ধরনের ঘটনায় কোন এক চক্রের মদত রয়েছে। তবে সবাই ধারণা করছে আমতলী থানার পুলিশের তদন্তে এই চক্রের মূল মাস্টার মাইন্ডকে জালে তুলতে পারবে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য